
প্রথম তিনটি ম্যাচ জিতে ইতিমধ্যেই ডুরান্ড কাপ ২০২২-এর কোয়ার্টার ফাইনাল রাউন্ডের টিকিট পাকা করে ফেলেছিল বাংলার তৃতীয় প্রধান দল মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। চতুর্থ ম্যাচে এসে জয়ের ধারা ভাঙলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে যাওয়া আটকালো না সাদা কালো ব্রিগেডের। এদিন গ্রুপ পর্বের শেষ ম্য়াচ ছিল মহেডান এসসি ও বেঙ্গালুরু এফসির মধ্যে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াই। ৩ ম্যাচে ৩টি জয়ে ৯ পয়েন্ট ছিল মহমেডানের। অপরদিকে ৩ ম্যাচে ২টি জয় ও একটি ড্রয়ের সৌজন্য ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বেঙ্গালুরু। ফলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে জিততেই হ বেঙ্গালুরুকে আর মহমেডানের দরকার ছিল ১ পয়েন্ট। ম্য়াচে ৯০ মিনিট পর্যন্ত ১ গোলের লিড ধরে রাখলেও ইনজুরি টাইমে গোল হজম করতে হয় কলকাতার ক্লাবকে। যার ফলে ১-১ গোলে ড্র হয় ম্যাচ। ম্য়াচে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে গোল করেন প্রীতং সিং ও বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে গোল করেন শিভা শক্তি।
প্রথম তিনটি ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে ছিল মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। চতুর্থ ম্যাচেও জয়ের লক্ষ্য নিয়েই নেমেছিল আন্দ্রে চের্নিশভের দল। ম্যাচের শুরু থেকেই খেলার রাশ নিজেদের হাতে নেওয়ার চেষ্টা করে সাদা-কালো ব্রিগেড। বিশেষ করে মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে চায় মহমেডান। প্রথম ১০ মিনিটেই কয়েকটি গোলমুখী আক্রমণ গড়ে তুলেছিল মহমেডান। গোলের মুখ খুলতেও বেশি প্রতীক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের ১৪ মিনিটেই গোলের মুখ খুলে ফেলে আন্দ্রে চের্নিশভের দল। দলকে গোল করে এগিয়ে দেন প্রীতম সিং। প্রথম গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পরও একাধিক গোলমুখী আক্রমণ তৈরি করছিল মহমেডান। কিন্তু গোলের ব্যবধান আর বাড়েনি। প্রথমার্ধে ম্যাচে সমতা ফেরানোর মত কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসিও। কিন্তু জালে বল জড়াতে পারেনি। ফলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
এরপর ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা খোলস ছেড়ে বেরোয় বেঙ্গালুরু এফসি। ম্য়াচে ফেরার জন্য একের পর এক আক্রমণ গড়ে তোলে। কিন্তু মহমেডানের রক্ষণ কিছুতেই ভাঙতে সমর্থ হচ্ছিল না বেঙ্গালুরুর অ্যাটাকিং লাইন। গোলের ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তবে ম্য়াচের শেষ মুহূর্তে গিয়ে ম্যাচে সমতায় ফেরে বেঙ্গালুরু। ম্য়াচের ইনজুরি টাইমের ৯১ মিনিটে শিবা শক্তির গোল করে দলের হার বাঁচান। এরপর আর জয়সূচক গোল করতে পারেনি কোনও দল। ১-১ সমতাতেই শেষ হয় খেলা। এই ড্রয়ের ফলে ৪ ম্য়াচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে গেল মহমেডান এসসি ও ৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়ে শেষ আটে গেল বেঙ্গালুরু এফসি।
আরও পড়ুনঃগোলরক্ষক থেকে ভারতীয় ফুটবলের মসনদে বসার সফর, জেনে নিন কেমন ছিল কল্যাণ চৌবের এই যাত্রাপথ