দিনকয়েক আগে চেন্নাইয়ান এফ.সি-র দলের তরুণ মিডফিল্ডার অনিরুদ্ধ থাপাকে প্রশংসায় প্রশংসায় ভরিয়ে তাঁকে বিদেশে খেলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন থাপার ক্লাব সতীর্থ পর্তুগিজ ডিফেন্ডার হেনরিক সেরেনো। এবার জাতীয় দলের জার্সিতে বেশ কয়েকটা ম্যাচ খেলা এই মুহুর্তে ভারতের শ্রেষ্ঠ সেন্টার-ব্যাক সন্দেশ ঝিঙ্গানকে বিদেশি লিগে খেলার প্রস্তাব দিলেন সম্মুগম ভেঙ্কটেশ বিদেশি লিগে ঝিঙ্গানকে যদি খেলতেই হয় তবে এটিই সঠিক সময়, জানালেন ইগর স্টিম্যাচের সহকারী। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে সম্প্রতি এক লাইভ ইনস্টাগ্রাম চ্যাট সেশনে আমন্ত্রিত ছিলেন ঈগর স্টিমাকের সহকারী ভেঙ্কটেশ। সেখানেই তিনি প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ঝিঙ্গানকে। সুনীলদের সহকারী কোচ জানান যে তার দৃঢ় বিশ্বাস এটাই ভারতের বাইরে খেলার সঠিক সময় সন্দেশের জন্য। সন্দেশ যে এখনও ভারতে খেলছে এটা খুব অবাক করেছে তাকে।
আরও পড়ুনঃমাত্র ৭ মিনিটে হ্য়াটট্রিক করে নয়া রেকর্ড ফেলাইনির
কঠোর পরিশ্রমের ফসল এই সাফল্য অর্জন করেছে সন্দেশ বলে জানিয়েছেন ভেঙ্কটেশ। ঝিঙ্গানের পাশাপাশি সেরেনোর মতো অনিরুদ্ধ থাপার প্রশংসাও শোনা গিয়েছে ভেঙ্কটেশের গলায়। থাপাও এই মুহুর্তে ভারতের বাইরে বিদেশি লিগে খেলার যোগ্য বলে জানিয়েছেন স্টিম্যাচের সহকারী।প্রাক্তন জাতীয় দলে খেলা ফুটবলার মনে করেন, আন্তর্জাতিক ফুটবলারদের সঙ্গে ভারতীয় ফুটবলাররা ড্রেসিংরুম শেয়ার করার সুযোগ পেলে সেটা আখেরে ভারতীয় ফুটবলকেই লাভবান করে তুলবে। তা বাদে ভারতীয় ফুটবলাররা ভারতের বাইরে যত বেশি করে খেলতে যাবে তত বেশি করে শেখার সুযোগ পাবে তারা। আর সন্দেশের জন্য এটাই আদর্শ সময়।
আরও পড়ুনঃদেশের অধিনায়ক ছিলেন, বর্তমানে অভাবের তাড়নায় একটি চাকরির জন্য ঘুরছেন দরজায় দরজায়
আরও পড়ুনঃবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদে মেয়াদ শেষ সৌরভের, এবার সুপ্রিম কোর্ট ঠিক করবে 'মহারাজের' ভাগ্য
একইসঙ্গে বাইরের লিগ বলতে যে কেবল ইউরোপের লিগগুলির কথা না ভেবে। জাপানের জে-লিগ, কোরিয়ার কে-লিগ কিংবা অন্য কোনও দেশের লিগের কথাও ভাবতে বলেছেন তিনি। তিনি নিজেও একবার জাপানের জে-লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তখন তিনি বিদেশে খেলতে যেতে চাননি। সেই সুযোগ হাতছাড়া করায় এখনও আফসোস যায়নি ভেঙ্কটেশের। গুরপ্রীত সিং সান্ধুর উদাহরণ টেনে এনে তিনি বলেন, ইউরোপে খেলার পর গুরপ্রীত অনেক উন্নতি করেছে। বাইরের দেশে খেলে একজন ফুটবলার অপরিমেয় জ্ঞান অর্জন করতে পারে। এই মুহুর্তে ভারতীয় দলে থাকা তরুণরা যদি বিদেশে খেলতে যায় তাহলে তারা যা শিক্ষা পাবে সেটা ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির সহায়ক হবে।