ভারতীয় ফুটবলে কোনও পরিস্থিতিই চিরস্থায়ী নয়। আজ যে ফকির, কাল সে হয়ে উঠতে পারে রাজা এবং হতে পারে এর সম্পূর্ণ উল্টোটাও। আরও একবার ভারতীয় ফুটবলের এই বহুপ্রচলিত মিথটা সত্যি বলে প্রমাণিত হলো। দুদিন আগে যে ইস্টবেঙ্গল শিবিরকে রীতিমতো কোণঠাসা দেখাচ্ছিল ইনভেস্টর সমস্যায়, তারাই শেষ ল্যাপে দুর্ধর্ষ কামব্যাক করলো খোঁচা খাওয়া বাঘের মতোই। তার জন্য যে বেশ খানিকটা কৃতিত্ব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু তার সঙ্গে এটাও সত্যি যে ইস্টবেঙ্গলের যে বিশাল ভক্তসংখ্যা, তার আকর্ষণই এফএসডিএল-কে সময়ের পরেও অপেক্ষা করতে বাধ্য করেছে। শেষপর্যন্ত সমর্থকদের আশা আকাঙ্ক্ষা এবং রাজ্য সরকার এবং আরও কিছু বিশিষ্ট ব্যাক্তির সহায়তায় অসাধ্য সাধন করেছে ইস্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুনঃঅবশেষ জল্পনার অবসান, রবিবারে ঘোষিত হবে আইপিএলের চূড়ান্ত সূচি
শেষপর্যন্ত চলতি আইএসেএলের জন্য দরপত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে এফএসডিএল। ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে দরপত্র তুলতে হবে। ইস্টবেঙ্গল ছাড়া অন্য কোনও বিডার নেই তা সকলেই জানে। ১৪ তারিখের মধ্যে দরপত্র জমা দেওয়া সংক্রান্ত যাবতীয় কাজকর্ম সম্পন্ন করতে ইস্টবেঙ্গলকে। ইনভেস্টর জোগাড় হওয়ার পর এখন প্রক্রিয়াটা অনেকটা সোজা মনে হলেও কিছুদিন আগে অবধি কোনও কিছুই এতটা সরল ছিল না। শেষ ল্যাপে এসে সেই জটিলতা সংক্রান্ত একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশও করেছেন লাল হলুদ শীর্ষকর্তা দেবব্রত বাবু।
আরও পড়ুনঃআইপিএল মাঠে দর্শক প্রবেশ নিয়ে বড়ো ঘোষণা,কি জানালেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
আরও পড়ুনঃসুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যুকাণ্ড, এবার নাম জড়াল রোহিত শর্মার পরিবারের
ইনভেস্টর পাওয়ার প্রচেষ্টায় বার বার জল ঢালার চেষ্টা করা হয়েছে অভিযোগ দেবব্রত সরকারের। স্কটিশ ক্লাব সেল্টিক যখন ইস্টবেঙ্গলে ইনভেস্ট করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল তখন সেই ইনভেস্টরকে মেল করে লাল-হলুদে ইনভেস্ট না করার পরামর্শ দিয়েছে কেউ। একই ঘটনা ঘটেছে যখন ইস্টবেঙ্গল ইনভেস্টর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক চালাচ্ছিল মারুতি কোম্পানির সাথে। এমনকি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের লিকার লাইসেন্স কাজের ক্ষেত্রেও ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করেছে কোনও এক পক্ষ যারা চায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের উন্নতি হোক, এমনটাই অভিযোগ ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তার।