যে সব দেশ ফুটবল মাঠে মহিলাদের ঢুকতে দেয় না, সেই সব দেশে খেলতে যাবে না ইউরোপের কোনও দল। মঙ্গলবার এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠকের পর এমনই সিদ্ধান্ত নিল ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা উয়েফা। নাম না করে ইরানকে কার্যত তুলোধনা করলেন উয়েফা সভাপতি আলেকজেন্দার সেফিনা। নিজেদের এক্তিয়ারে থেকে তাঁদের পক্ষে এই নিয়ে যা যা করা সম্ভব সেটাও করা হবে বলে জানিয়েছেন উয়েফা সভাপতি।
উয়েফার কার্যকরি কমিটির বৈঠকে সভাপতি সেফিনা বলেন, ‘যে সব দেশে মহিলাদের ফুটবল মাঠে ঢুকতে দেওয়া হয় না সেই সব দেশে উয়েফার অধিনস্থ কোনও দল খেলতে যাবে না। সংস্থার অধীনে থাকা ৫৫টি দেশের কাছেই এই আবেদন করা হয়েছে। আমারা যেটুকু জানি, বিশ্বের দুটি দেশে মহিলাদের মাঠে ঢুকতে দেওয়া হয় না। তাদের আমারা শাস্তি দিতে পারি না। কারণ সেটা আমাদের এক্তিয়ার ভুক্ত নয়। সেটা ফিফার এক্তিয়ার ভুক্ত। কিন্তু সবকিছু দেখে আমরা চুপ করে বসেও থাকতে পারিন না।’ এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে উয়েফার এক্সিকিউটিভ কমিটি।
সেফিনার কথার ইঙ্গিত স্পষ্টতই ছিল ইরান ও সৌদি আরবের দিকে। গতবছর ইতালিয়ান সুপার কাপের আয়োজন করা হয়েছিল সৌদি আরবে। এই নিয়ে কমা সমালোচনার মুখে পরতে হয়নি ইতালিয়ান ফুটবল সংস্থাকে। গত সপ্তাহে ফিফা ইরানকে স্পষ্ট ভাবেই জানিয়ে দিয়েছে ফুটবল মাঠে মহিলা দর্শকদের প্রবেশ করার অধিকার দিতে হবে। এবার উয়েফায় জানিয়ে দিল তাদের অবস্থান। মাঠে ঢুকতে না পেরে গত মাসে এক মহিলা গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। তারপরই নড়েচড়ে বসে ফিফা। ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার একটি দলও যায় ইরানে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই ফিফা ইরানকে জানিয়ে দেয় মাঠে মহিলাদের ঢুকতে বাধা দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন - প্রথমবার ফিফা বেস্ট পুরস্কার পেলেন মেসি, অনুপস্থিত রোনাল্ডো, সেরা কোচ ক্লপ