অনেক লড়াইয়ের পর কোয়েসের থেকে স্পোর্টিং রাইটস ফেরৎ পেয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা। ইনভেস্টরের নাম ঘোষণা না হলেও, সেই সমস্যাও মিটে গিয়েছে বলে খবর ছিল ক্লাব সূত্রে। ক্রমশ পরিষ্কার হচ্ছিল এই বছরই ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলার রাস্তা। তারউপর খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজ উদ্যোগে দেখছেন ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলার বিষয়টা। ক্লব সমর্থকদেরও বারবার কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করেছেন খুব শীঘ্রই আইএলে দেখা যাবে তাদের প্রিয় দলকে। কিন্তু ফের ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলা নিয়ে তৈরি হল ধোঁয়াশা। কারণ শোনা যাচ্ছে এই বছর টুর্নামেন্টে নতুন দল নিতে নারাজ আইএসএলের আয়োজক এফএসডিএল কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবারের বৈঠকে এফএসডিএল স্পষ্ট করে দিয়েছে, আগামী মরশুমে দশ দলের টুর্নামেন্ট হবে ধরে নিয়েই এগোচ্ছে তারা। সেক্ষেত্রে নতুন দলের জন্য ‘বিড’ পেপারও ওপেন করা হবে না। যার ফলে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের যাবতীয় চেষ্টা বিফলে চলে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই নাকি টুর্নামেন্টের সূচি তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। এফএসডিএল জানিয়ে দিয়েছে আগামী ৭ আগস্ট তারা সরকারিভাবে ঘোষণা করবে, কলকাতা এবং গোয়ার মধ্যে কোথায় আইএসএল আয়োজন করা হবে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে গোয়াতেই এবছর টুর্নামেন্ট হতে চলেছে। এইএসডিএলের এই খবরেই নাকি রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে লাল-হলুদ কর্মকর্তাদের। তীরে এসে তরী ডোবার ডোবার ভয় গ্রাস করেছে তাদের।
আরও পড়ুনঃসামনে এল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট
আরও পড়ুনঃএফডব্লিউএ-এর বিচারে মরশুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হলেন রেডস অধিনায়ক হেন্ডারসন
চিরপ্রতীদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগান ইতিমধ্যেই এটিকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। পাকা হয়ে গিয়েছে এই মরসুমেই আইএসএল খেলা। যার ফলে চাপ আরও বেড়েছে লাল হলুদ কর্মকর্তাদের উপর। নিজেদের দলের সদস্য-সমর্থকদের চাপ তো রয়েইছে। যাবতীয় চেষ্টাও করচেন ক্লাব কর্তারা। কিন্তু কোনও কিছুতেই কোনও লাভ হবে না, যদি এফএসডিএল নতুন দল নিতে রাজি না হয়। এই ক্ষেত্রে এইএসডিএল সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনেরও নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। তবে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা এখনও আশা ছাড়তে নারাজ। তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করে এফএসডিএলকে বুঝিয়ে ইস্টবেঙ্গলের জন্য ছাড়পত্র নিয়ে আসার বিষয়ে আশাবাদী।