
উয়েফা নেশনস দ্বিতীয় ম্য়াচেও জয় অধরা থেকে গেল স্পেনের। প্রথম ম্য়াচে পর্তুগালের বিরুদ্ধে ড্র করার পর চেক রিপাবলিকের বিরুদ্ধেও আটকে লুই এনরিকের দল। বলা চলে খেলার শেষ মুহূর্তে গোল করে কোনও মতে হার বাঁচাল প্রাক্তন বিশ্ব ও ইউরো জয়ী দল। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ ২-২ গোলে সমতায় শেষ হয়। ম্য়াচে চেক রিপাবলিকের হয়ে দুটি গোল দুটি গোল করেন জাকুব পেসেক ও জান কুচতা। স্পেনের হয়ে দুটি গোল করেন গাভি ও ইনিগো মার্টিনেজ। চেক রিপাবলিকের বিরুদ্ধে স্পেনকে এগিয়ে রেখেছিল ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। খেলাতেও ছিল তার ঝলক। কিন্ত রক্ষণে ভুলে গোল হজম করে পরপর দু ম্যাচে যেভাবে পয়েন্ট হাতছাড়া করল লুই এনরিকের দল তাতে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা অনেকটা কঠিন হয়ে গেল স্প্যানিশ আর্মাডাদের।
এদিন ম্য়াচের শুরু থেকেই কিন্তু বল পজিশন ধরে রেখে নিজেদের চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী খেলছিল স্পেন। কিন্তু ম্যাচের প্রথম ৪ মিনিটেই গোল হজম করতে হয় এনরিকের দলকে। চেক রিপাবলিকের হয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন জাকুব পেসেক। এরপর গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে স্পেনের অ্য়াটাকিম লাইন। একের পর এক সুযোগ তৈরি করে স্পেনের মাঝমাঠ। ডিফেন্স করতে ব্যস্ত হয়ে যায় চেক রাপিবলিক দল। যদিও হাল ছাড়েনি স্প্যানিশ আর্মাডারা। প্রাণপণ দিয়ে গোল রক্ষা করে কোচ জারো স্লাভ সিলহেভির চেক প্রজাতন্ত্র। কিন্তু ম্যাচের প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমের শেষ মুহর্তে ম্যাচে সমতা ফেরায় স্পেন। গাভি গোল করে খেলার ফল ১-১ করে। এরপর প্রথমার্ধে কোনও গোলের সুযোগ গড়ে ওঠেনি। ১-১ সমতাতেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
আরও পড়ুনঃরোনাল্ডোর জোড়া গোল, নেশনস লিগে সুইসদের বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে জয় পর্তুগালের
আরও পড়ুনঃএস্তোনিয়ার বিরুদ্ধে একাই ৫ গোল দিলেন মেসি, সঙ্গে একাধিক রেকর্ড গড়লেন আর্জেন্টাইন তারকা
ম্য়াচের দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই আক্রমণের মাত্রা বাড়ায়। লিড নেওয়ার চেষ্টা করে। স্পেন নিজের তিকিতাকা ফুটবল ও চেক রিপাবলিক নিজস্ব ইউরোপিয়ান ফুটবলের ঘরানা বজায় রেখে চালিয়ে যায় আক্রমণ। কিন্তু এক্ষেত্রেও দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম গোলের মুখ খোলে চেক। ম্য়াচের ৬৬ মিনিটে গোল করে দলকে ফের এগিয়ে দেন জান কুচতা। ফের গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে স্পেন। ম্য়াচের ৮৯ মিনিট পর্যন্ত লিড ধরে রেখেছিল চেক রিপাবলিক। কিন্তু ৯০ মিনিটে শেষ মুহূর্তে গোল করে স্পেনকে সমতায় ফেরান ইনিগো মার্টিনেজ। ম্যাচের শেষ ইনজুরি টাইমে আর কোনও দল গোলের মুখ খলতে পারেনি। ২-২ সমতায় শেষ হয় ম্যাচ। খেলায় ৮০ শতাংশ বল পজিশন, শট ও গোলমুখী শট, ৮৪৩টি পাস সবকিছুতেই স্পেন এগিয়ে থাকলেও জয় অধরাই থেকে গেল স্প্যানিশ আর্মাডাদের।