২১-শের বঙ্গ ভোটকে লক্ষ করেই পালাবদলের হিড়িক চলছে। টলিপাড়াতেই যেন বিভেদ চলছে। কেউ শাসকদল তো কেউ গেরুয়া শিবির, একের পর এক রাজনৈতিক পালাবদলে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। বাংলা দখল করতে যেন ঝাঁপিয়ে পড়ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে বিজেপি নেতারা। প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বারংবার আসছে বঙ্গ সফর। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন যশ দাশগুপ্ত। বিজেপিতে যোগ দিয়েই সুরবদল হয়েছে যশ দাশগুপ্তর। নিজের ইনস্টাতেই ইঙ্গিতবহ পোস্ট করে জল্পনা বাড়াচ্ছেন অভিনেতা।
দিনভর জল্পনা জিঁইয়ে রেখে একপ্রকার সকলকে চমকে দিয়ে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন যশ দাশগুপ্ত।
211
মুকুল রায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নেতৃত্বেই পদ্ম শিবিরে যোগ দিলেন যশ এবং টলি অভিনেতারা।সকলের হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দেওয়া দেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
311
প্রেমের গুঞ্জনের মধ্যেই নুসরতের বিরোধী দলেই যোগ দিয়ে জল্পনা যেন দ্বিগুন বাড়িয়ে দিয়েছেন যশ। একাধিকবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন যশ।
411
বিজেপিতে যোগ দিয়েই যশ জানিয়েছিলেন, এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে নেওয়া নয়। যেহেতু আমার নিজের বয়স কম তাই তরুণ প্রজন্মই আমার মূল লক্ষ। কারণ বিজেপি সবসময়েই তরুণ প্রজন্মের উপর জোর দিয়েছে। রাজনীতি মানেই পরিবর্তন দরকার। আর পরিবর্তন মানেই সিস্টেমের মধ্যে কাজ করা।
511
বিজেপিতে যোগ দিতে না দিতেই সুরবদল হয়েছে অভিনেতা যশের। বিজেপিতে আসার কয়েকদিনেক মধ্যেই নিজের ইনস্টা পোস্টে আবারও তিনি বুঝিয়ে দিলেন তিনি কথা নয়স কাজের মাধ্যমেই নিজেকে প্রমাণ করবেন।
611
সম্প্রতি নিজের ইনস্টা-তে নিজের একটি নিজস্বী পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেছেন, 'কাজ প্রমাণ করে কথার কোনও দাম নেই'। হঠাৎ কেন এই উপলব্ধি, নিশ্চয়ই এর পিছনে কোনও কারণ রয়েছে, জোর চর্চা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
711
যশের এই পোস্টে নেটিজেনরা অনেকেই মনে করছেন, নির্বাচনের আগে রাজনীতির ময়দানে নতুন নেমে নিজেকে প্রমাণ করতে অনেকই অনেক কথা ববে। কিন্তু কতজন তা করে দেখাতে পারে।
811
অভিনেতারা প্রায়শই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হন। যশেরও সেই অভিজ্ঞতা হয়েছে রাজনীতিতে আসার আগে। এবং শুধু তাই নয় রাজনীতিতে পা রাখার পরও বহুবার ট্রোলের মুখে পড়েছেন অভিনেতা। তবে কি তার উত্তরই দিলেন এই পোস্টে। প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা।
911
নিন্দুকদের মত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে বা দেখা করে তিনি শাসকদলে জায়গা পাননি। সেই সময়েই বিরোধি দলে যোগ দিয়েছেন তিনি। তবে কি সেইদিকেই ফের কটাক্ষ করলেন যশ। কাজ দিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে চলেছেন যশ।
1011
এখানেই শেষ নয়, বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আশীর্বাদও চেয়ে নিয়েছেন যশ। অভিনেতা নিজে জানিয়েছেন, মমতা বন্দোপাধ্যায়কে তিনি যথেষ্ঠ শ্রদ্ধা করেন এবং নিজেকে দিদির ভাই মনে করেন বলে জানান তিনি। তাই তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে চান না।
1111
যশ আরও জানিয়েছন, নুসরতের সঙ্গে তার বন্ধুত্বে কোনও প্রভাবই পড়বে না। যশের মতে, ব্যবস্থার বাইরে থেকে ব্যবস্থাকে বদলানো যায় না, তাই রাজনীতিতে যোগদান।