সত্যজিৎ রায় এই নামটাই যেন যথেষ্ঠ। বাঙালি শুধু নয়, গোটা বিশ্ববাসীর কাছে তিনি জনপ্রিয়। এক বাঙালি কিংবদন্তি যিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার । পরিচালক ভিত্তোরিও ডি সিকা-র 'দ্য বাইসাইকেল থিভস' দেখেই 'পথের পাঁচালী' তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। আর এটিই এমন সিনেমা যা ভারতীয় সিনেমার প্রেক্ষাপটকেই বদলে দিয়েছিল। এই সিনেমার পিছনেই রয়েছে এক মস্ত বড় ইতিহাস। যা অনেকেরই অজানা। জন্মবার্ষিকী-তে রইল কিংবদন্তি পরিচালকের অজানা সেই গল্পের একঝলক।
চলচ্চিত্র জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র যিনি গোটা চলচ্চিত্র তো বটেই এমনকী পুরো ভারতীয় সিনেমার প্রেক্ষাপটকেই বদলে দিয়েছিলেন। তিনি হলেন সকলের প্রিয় বাঙালি কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়।
210
এক বাঙালি কিংবদন্তি যিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার । ১৯২১ সালে ২ মে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়। সাহিত্য ও শিল্পের জগতে খ্যাতনামা পরিবারেই তার জন্ম ।
310
একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতার পাশাপাশি, চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সঙ্গীত পরিচালক, লেখক, গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবেও তিনি গোটা বিশ্বে পরিচিত। সর্ব গুণে সম্পন্ন মানুষটি আজও সকলের মণিকোঠায় উজ্জ্বল ।
410
'পথের পাঁচালী' সিনেমা করেই ভারত তথা ভারতের বাইরেও ছবিটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।'পথের পাঁচালী' ছবিটি মোট ১১ টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছিল। এই ছবির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে এক মস্ত বড় ইতিহাস।
510
জীবনের প্রথম ছবি পরিচালনা করতেই এক ভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন অস্কারজয়ী পরিচালক। জীবনের প্রথম ছবি পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি জানতেনই না ছবির জন্য আলাদা স্ক্রিপ্ট তৈরি করতে হয়।
610
শ্যুটিং সেটে সবাই রেডি হয়ে বসে আছে। সেই মুহূর্তে সহ পরিচালক এসে স্ক্রিপ্ট চাইলে সত্যজিতের সটান উত্তর স্ক্রিপ্টের কী দরকার। আমি যা বলব ওরা সেটাই করবে। এই কথা শুনে সকলেই হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর সবার কথা রাখতে পেন আর কাগজ নিয়ে আসতে বলেন পরিচালক।
710
সেইমতো কাগজের টুকরোতেই একটা করে ছবির দৃশ্য এঁকে দিলেন পরিচালক। এমনকী ছবির স্ক্রিপ্টও তৎক্ষণাত বসে বানিয়ে ফেলেন সত্যজিৎ। আর ওই ছোট কাগজের চিরকুট গুলিই ছিল কালজয়ী সিনেমা 'পথের পাঁচালী'র স্ক্রিপ্ট। তিনি এমনভাবেই চরিত্রের ভিতরে ঢুকে যেতেন যে তার কোন স্ক্রিপ্টের প্রয়োজন হতো না।
810
ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বিশ্বের দরবারে ভারতীয় শিল্পকলাকে তুলে ধরতে অত্য়ন্ত উত্সাহী ছিলেন। ১৯৫৫ সালে সত্যজিৎ রায়ের মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'পথের পাঁচালী'-র সূত্র ধরেই সত্যজিত্ রায় ও তাঁর প্রতিভা সম্পর্কে অবহিত হন ইন্দিরা গান্ধী।
910
তারপরের দুটি ছবি 'অপরাজিত', 'অপুর সংসার' এই তিনটি ছবিই বিশ্বদরবারে অপুর ত্রিলজি নামে পরিচিত। 'অপরাজিত' ছবির সাফল্যই তাকে আন্তজার্তিক মহলে আরও পরিচিত করে তুলেছিল।
1010
সাদা-কালো ছবিতেই বাংলা সিনেমার নতুন প্রেক্ষাপট রচিত করেছিল সত্যজিৎ রায়। ১৯৬২ সালে প্রথম রঙীন বাংলা ছবি 'কাঞ্চনজঙ্ঘা' তৈরি করেছিলেন সত্যজিৎ। তার বর্ণময় কর্মজীবনে বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কারও রয়েছে তার ঝুলিতে।