পার্টিতে যৌন হেনস্তা করেছিল সাগ্নিক, থানায় অভিযোগ করবেন শুনেই পা ধরে ক্ষমা চান পল্লবী, দাবি ঐন্দ্রিলার

টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে-র রহস্য মৃত্যু ফের নাটকীয় মোড় নিল। এবার লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ আনলেন পল্লবীর বান্ধবী ঐন্দ্রিলা চক্রবর্তী। যা নিয়ে চক্ষু ছানাবড়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই পল্লবীর আকস্মিক মৃত্যুতে বান্ধবী ঐন্দ্রিলা ও সাগ্নিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পল্লবীর পরিবার। পল্লবীর দে-র মৃত্যু রহস্যে নাম জড়িয়েছে বান্ধবী ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়ের। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রয়াত অভিনেত্রীর লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীকে। প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীকে ৯ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ  দিল আলিপুর আদালত। আগামী ২৬ শে মে পর্যন্ত সাগ্নিককে পুলিশ কাস্টডিতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিচারক। সাগ্নিকের পুলিশি হেফাজতের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন ঐন্দ্রিলা। তিনি দাবি করেন একটি পার্টিতে তাকে নাকি যৌন হেনস্তা করার চেষ্টা করেন সাগ্নিক। তারপর তিনি থানায় অভিযোগ করবেন বলে ঠিক করেন। এই কথা জানার পরই হাত-পা ধরে ক্ষমা চান পল্লবী নিজে। অভিনেত্রীর কথা শুনে পুলিশে যাননি বলে দাবি করলেন ঐন্দ্রিলা।

Riya Das | Published : May 20, 2022 5:28 AM IST / Updated: May 20 2022, 11:00 AM IST
110
পার্টিতে যৌন হেনস্তা করেছিল সাগ্নিক, থানায় অভিযোগ করবেন শুনেই পা ধরে ক্ষমা চান পল্লবী, দাবি ঐন্দ্রিলার


পল্লবীর মৃত্যুজট ক্রমশ যেন জটিল হচ্ছে। তিনি যে কোনওভাবেই আত্মহত্যা করেননি তেমনটাই দাবি মৃতার বাবার। শুরু থেকেই পল্লবীর আকস্মিক মৃত্যুকে খুন বলে দাবি করেছেন প্রয়াত অভিনেত্রীর বাবা। পল্লবীকে খুন করেছেন তার লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক। অভিযোগে জানিয়েছেন, এই খুনের নেপথ্যে অভিনেত্রীর লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করাই ছিল প্রধান উদ্দেশ্য।  
 

210

দিনকয়েক আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রয়াত অভিনেত্রীর লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীকে। প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীকে ৯ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ  দিল আলিপুর আদালত। আগামী ২৬ শে মে পর্যন্ত সাগ্নিককে পুলিশ কাস্টডিতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিচারক। সাগ্নিকের পুলিশি হেফাজতের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন ঐন্দ্রিলা। 

310


 পল্লবীর বান্ধবী ঐন্দ্রিলা দাবি করেন, কিছুদিন আগের একটি পার্টিতে তাকে নাকি যৌন হেনস্তা করার চেষ্টা করেন সাগ্নিক। তারপর তিনি থানায় অভিযোগ করবেন বলে ঠিক করেন। এই কথা জানার পরই হাত-পা ধরে ক্ষমা চান পল্লবী নিজে। অভিনেত্রীর কথা শুনে পুলিশে যাননি বলে দাবি করলেন ঐন্দ্রিলা।

410

ঐন্দ্রিলা আরও জানিয়েছেন,পল্লবী এসে খুব কান্নাকাটি করে আর বলে থানা-পুলিশ করলে ওর সম্মানহানি হবে। এতে ওর কেরিয়ার নষ্ট হবে।  সেই সময় পল্লবীর কথা শুনেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করিনি। তবে ঐন্দ্রিলার আনা চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শুনে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।

510


 পল্লবীর দে-র মৃত্যু রহস্যে নাম জড়িয়েছে বান্ধবী ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়ের।  ইতিমধ্যেই পল্লবীর আকস্মিক মৃত্যুতে বান্ধবী ঐন্দ্রিলা ও সাগ্নিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পল্লবীর পরিবার। এবার লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ আনলেন পল্লবীর বান্ধবী ঐন্দ্রিলা চক্রবর্তী। 

610


পল্লবীর পরিবার ঐন্দ্রিলার নামে পুলিশে অভিযোগ করলেও এখনও পর্যন্ত তাকে জেরার জন্য ডাকা হয়নি। তবে শীঘ্রই তাকে ডাকা হবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে পল্লবীর বন্ধু ভাবনা, বাড়ির পরিচারিকা, পল্লবীর ভাইকে জেরা করা হয়েছে।
 

710


পল্লবীর পরিবারের দাবি, অভিনেত্রীর  লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিকের সঙ্গে ঐন্দ্রিলার সম্পর্ক ছিল।  এবং মাঝেমধ্যেই নাকি তাদের ফ্ল্যাটেও আসতেন ঐন্দ্রিলা। তবে ঐন্দ্রিলা জানিয়েছেন, তিনি একবারই থেকেছেন গড়ফার  ফ্ল্যাটে। তাও একটা বিয়েবাড়ি থেকে ফিরতে রাত হয়েছিল বলে। সেইরাতে ওদের ফ্ল্যাটে আরও দুই বন্ধুও ছিল। বিয়েবাড়ির পরের দিনই সাগ্নিকের রক্তবমি হচ্ছিল। তাই সেই কারণেই পল্লবী নিজেই সেদিন বলেছিলেন তাকে ফ্ল্যাটে থেকে যেতে। 

810

পল্লবীর পরিবারের দিকেও আঙুল তুলেছেন ঐন্দ্রিলা।  এত সমস্যা থাকলে কেন এই সম্পর্কে ছিলেন পল্লবী, কেনই বা তার নামে এতদিন তারা অভিযোগ জানাননি তারা। আর আমার সঙ্গে পল্লবীরই বন্ধুত্ব ছিল। সাগ্নিকের সঙ্গে বিশেষ কথা হতো না। এবার সাগ্নিকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন ঐন্দ্রিলা। 

910

পল্লবীর বাবা নীলু দের  প্রথম থেকেই দাবি করেছেন,  মেয়েক খুন করা হয়েছে।  মেয়ে যে এভাবে আত্মহত্যা করতে পারে তা বিশ্বাস করতে পারছেন না পরিবার। বাবা আরও বলেন, মেয়ে একটুতেই রেগে যেত কিন্তু তাই বলে আত্মহত্যা তা কোনওমতেই সম্ভব নয়। 

1010

 তিনি বলেছেন, সাগ্নিক বিবাহিত, নিজের বউ থাকা সত্বেও  সাগ্নিক পল্লবীর সঙ্গে লিভ-ইন করত, তা পুরোটাই জানত সাগ্নিকের পরিবার। সাগ্নিক নাকি রেগে গেলেই পল্লবীকে মারধর করত। এমনকী মেয়ের গায়ে মারধরের চিহ্নও দেখেছেন পরিবার ও সহকর্মীরা। নিত্য নৈমিত্তিক বিবাদ লেগেই থাকত তাদের মধ্যে। তবে শনি ও রবিবার কী এমন হয়েছিল যে মৃত্যুর পথ বাছতে হল পল্লবীকে তা এখনও ধোঁয়াশা।
 

Read more Photos on
Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos

Recommended Photos