সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর খবরের পর পরই উঠে এসেছে বিভিন্ন তথ্য। তবে তার সত্যতা এখনও যাচাই করা যায়নি। রিয়া এবং মহেশ ভাটের সম্পর্ক নিয়ে নানা প্রশ্ন। মহেশ ভাট এবং রিয়া চক্রবর্তীর সম্পর্ক ঠিক কী। এই নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া, বিনোদন জগৎ এবং সংবাদমাধ্যম। যে সম্পর্ক আগে কখনই স্বীকার করেননি, পুলিশের জেরার মুখে পড়ে তাঁর সঙ্গে সুশান্তের বিয়ে নিয়েও মুখ খুললেন রিয়া। নভেম্বরে তাঁদের বিয়ের নিয়ে চলছিল নানা প্রস্তুতি। এরই মধ্যে কেনই বা মহেশ ভাটের কথা শুনলে এমন অবস্থায় সুশান্তকে ছেড়ে চলে এলেন। পরিচালক মুকেশ ভাট এবং মহেশ ভাটের সাক্ষাৎকারে চোখ কপালে উঠেছিল সকলের।
মুকেশ ভাট সম্প্রতি জানিয়েছেন, যে তিনি এবং মহেশ জানতেন সুশান্ত এমন কাজ করতে চলেছেন। প্রথম দেখাতেই, সুশান্তের কথা শুনেই তাঁর এবং মহেশ ভাটের মনে হয়েছিল সুশান্তের মধ্যে কোনও সমস্যা আছে। কথা বললেও তিনি নিজের মধ্যে নেই।
212
মহেশ ভাটের সঙ্গে রিয়ার কি এমন সম্পর্ক ছিল যে প্রেমিকের দুরাবস্থায় তাঁকে একা ছেড়ে দিয়ে চলে আসেন মহেশ ভাটের কথায়। মহেশ ভাট এবং রিয়াকে এই নিয়ে ট্রোল করে চলেছে নেটদুনিয়া।
312
মহেশ ভাটের চরিত্র নিয়ে নানা লোক নানা কথা বপলে থাকেন। সম্প্রতি পায়েল রোহাতগিও মহেশ ভাটের চরিত্র সম্বন্ধে বলেছেন, "নিজের মেয়ের সঙ্গে চুম্বনরত হতে যিনি দ্বিধাবোধ করেন না তাঁর থেকে আর কী বা আশা করা যায়।"
412
এরই মধ্যে আলিয়া ভাটের একটি পুরনো সাক্ষাৎকারের কথা বেশ মনে পড়ে। যেখানে তিনি বলেছিলেন, জীবনে আর যাই হোক বাবা মহেশ ভাটের মত জীবনসঙ্গী পেতে চান না তিনি।
512
তবে কি সকলে যে অভিযোগ আনছেন তা কি সত্যি। সাধারণত অধিকাংশ মেয়ের কাছেই জীবনসঙ্গীর উদাহরণস্বরূপ বাবার চিত্রই ভেসে আসে। বাবার মত জীবনসঙ্গী পেতে চায় অনেকেই।
612
সেখানে তিনি সরাসরি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি বাবার মত জীবনসঙ্গী চান না। অনুপম খেরে একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন আলিয়া।
712
সেই সময় তিনি সবেমাত্র বলিউডে পদার্পণ করেছেন। অনুপম খের তাঁকে প্রশ্ন করেন, সকল মেয়েদেরই ইচ্ছে থাকে বাবার মত জীবনসঙ্গী পাওয়ার, আলিয়ার ইচ্ছে কী।
812
আলিয়া সরাসরি উত্তর দেন, বাবার মত জীবনসঙ্গী নয়, নিজের মত কাউকেই চান। তারপরই খানিক স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। বাবার নাম সুশান্তের মৃত্যু মামলায় উঠে আসতে আলিয়ার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে নিজের ইনস্টাগ্রামের কমেন্ট সেকশনের অপশনটি বন্ধ করে রেখেছেন তিনি।
912
প্রসঙ্গত, মহেশ ভাটের ঘনিষ্ঠ মহলের একজন লেখিকা সুরিতা সেনগুপ্ত, রিয়া-সুশান্তের সম্পর্ক এবং সুশান্তের মানসিক অবস্থা নিয়ে মুখ খোলেন সম্প্রতি। তাঁর কথায়, সুশান্তকে নানা রকম আওয়াজ শুনতে পেতেন, বারবার বলতেন, কারা নাকি তাঁকে মারতে চায়।
1012
এমনকি রিয়ার সামনেও এভাবে রিয়্যাক্ট করেছেন বহুবার। একদিন সুশান্তের বাড়িতে রিয়া এবং সুশান্ত বসে অনুরাগ কাশ্যপের একটি ছবি দেখছিলেন। সেই সময় হঠাৎ সুশান্ত বলে ওঠেন, "আমি অনুরাগকে একটি ছবির জন্য নাকোচ করেছিলাম। ও আমায় মেরে ফেলবে।"
1112
কথাটি শুনেই রিয়া হতবাক। কীভাবে রিয়্যাক্ট করবেন বুঝতে পারেননি। সুশান্তের সঙ্গে কথা বলারও চেষ্টা করেননি তিনি। বরং তাঁর বাড়ি থেকে তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে আসেন।
1212
যদিও সুরিতার কথায়, রিয়া একাধিকবার সুশান্তকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন, তাঁর পাশে থাকার চেষ্টা করেন। সুশান্তই নাকি তাঁকে দূরে ঠেলে দেন। তিনি জানান, মহেশ ভাটই রিয়াকে সুশান্তকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আদেশ দেন। কারণ সুশান্তের মানসিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল। যা রীতিমত ভয় পাইয়ে দিয়েছিল রিয়াকে।