'ক্রিমিনাল কণিকা কাপুর', বলিউড গায়িকাকে হেফাজতে নেওয়ার দাবি সোশ্যাল মিডিয়ায়

কণিকা নিজে সংক্রমক জানার সত্ত্বেও তিনটি পার্টিতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন কণিকার বাবা রাজীব কুপর। অথচ এই খবরে কোনও সত্যতা নেই বলে উল্টো দাবি করছেন কণিকা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাজীব কাপুর জানান, কণিকা লখনউতে তিনিটি আলাদা আলাদা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানে কমপক্ষে ৩০০-৪০০ জন অথিতি ছিল।

কণিকার সহ তাঁর পরিবারের বাকি ছয় জনেরও করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। ফলাফল আসতে এখনও সময় লাগবে। কণিকা নিজের বাবার প্রতিটি কথা ভুল বলে দাবি করে জানিয়েছেন, ১৩ মার্চ তিনি একটি ছোট অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন।

তাঁর বাবার পক্ষে জানা সম্ভব নয় তিনি কোথায় কোথায় যান এবং কাদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি নাকি কেবল তিরিশ জনের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাও আবার গ্লাভস পরে। তিনি ছাড়া পার্টির অন্যান্য সদস্যরাও নাকি গ্লাভস পরেই ঘুরছিলেন।

কণিকা এও জানান যে তিনি যথা সম্ভব চেষ্টা করেছেন সোশ্যাল ডিসটেন্সিং বজায় রাখতে। যদিও ইতিমধ্যেই পার্টিরক দু'টি ছবিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। কণিকা যে রীতিমত বিপাকে পড়েছেন তা বলারক অপেক্ষা রাখে না।

ট্যুইব়্যাটিরা বেজায় ক্ষুব্ধ তাঁর উপর। এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিতে পারেন কণিকা তা তাঁর ভক্তরাও ভাবেনি। ক্ষোভে ফেটে পড়া নেটিজেনরা ট্যুইটার ট্রেন চালু করেছেন #কণিকাকাপুরক্রিমিনাল। মুহূর্তের মধ্যে সঙ্গীতশিল্পী হয়ে উঠলেন ক্রিমিনাল।

তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা, সুস্থ হওয়ার পর তাঁকে হেফাজতে নেওয়া এমনই নানা কথায় ভরে উঠছে সোশ্যাল মিডিয়া। বলিউড গায়িকার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সাংবাদিক বরখা দত্তও।

প্রসঙ্গত, লন্ডনে গিয়েছিলেন নিজের সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে। লখনউ এসে তিনি বিমানবন্দরে নিজের ঘোরার বিষয় যাবতীয় তথ্য পেশ করতে রাজি হননি। তাঁর কথায়, বিমানবন্দরে তিনি স্ক্যানিং করিয়েছিলেন, ফর্মও ফিল আপ করেছেন। কিন্তু সেই মুহূর্তে কিছুই ধরা পড়েনি।

নিজেকে সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে রাখার সময় বিচলিত হয়ে তিনি ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর ডাক্তার নাকি তাঁকে সাহায্য করার বদলে কণিকার সংক্রমণের কথা লুকিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার হুমকি দেয়।

বিখ্যাত ইন্টিরিয়র ডিজাইনার আদিল আহমেদের থ্রো করা পার্টিতে কণিকা একটি পাঁচতারা হোটেলে সকলের সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।