পর্দার সামনে এক, পর্দার বিপরীতে ঠিক তাঁর উল্টো চরিত্র ছলি সুশান্তের। পর্দায় সামনে যতটা প্রাণবন্ত থাকতেন তিনি, বাস্তব জীবনে নিজেকে ততটাই গুঁটিয়ে রাখতে পছন্দ করতেন সুশান্ত সিং রাজপুত। একটি আইআইটি সেমিনারে সেই কথা স্বীকার করেন সুশান্ত। জানান, তাঁর বলিউডে আসার পেছনের রহস্য...
সুশান্ত সিং রাজপুত বরাবরই কম কথা বলতেন। সকলের সামনে নিজের মনের কথা খুলে বলতে বেজায় বেগ পেতে হত তারকাকে।
28
মুম্বই আইআইটি-তে এক সেমিনারে এসে তেমনটাই জানিয়েছিলেন সুশান্ত। তিনি এক সময় সাফল্যের পেছনে দৌড়তেন। কিন্তু একসময় তিনি বুঝতে পারেন তিনি যা করতে চেয়েছেন, তা পূরণের খুব কাছে রয়েছেন।
38
সেদিন সেমিনারের শুরুতেই সুশান্ত জানিয়েছিলেন, তিনি ভালো বক্ত নন। তিনি কথা বলতে পারতেন না, আর পারেনও না। তাই কলেজ জীবন থেকেই পকেটে চিট নিয়ে ঘুরতেন তিনি।
48
সুশান্তের কথায়, জীবনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাঁর ইন্ট্রোভার্ট স্বভাব। কিন্তু কেন, নিজেই জানালেন সুশান্ত, তিনি পরিবারের সব থেকে ছোট সদস্য ছিলেন।
58
তাই সকলেই তাঁকে চোখে চোখে রাখতেন। বাড়ির বাইরে গেলে আগলে আগলে রাখার ফলেই মানুষের সঙ্গে মেশায় কিন্তু বোধ করতেন সুশান্ত।
68
এর ফলেই তিনি অভিনয় জগতে পা রাখেন। তাঁর মাথায় থাকত তিনি সব সময় অভিনয় করছেন। তাই কোনও সমস্যা দেখা তিন না। কিন্তু ছযখনই শর্ট শেষ হত, তখনই তিনি আবারও গুঁটিয়ে নিতেন নিজেকে।
78
কেদারনাথের মনসুর আলি হোক কিংবা ধোনী, চাপা স্বভাব পর্দাতেও খুব সুন্দরভাবে ফুঁটিয়ে তুললেন সুশান্ত। কারণ এটাই ছিল তাঁর বাস্তবিক রূপ।
88
মনের কথা খুলে বলতে না পারা, নিজের আবেগ প্রকাশ করতে না পারার কারণে নিজের ভেতর গুমরে গুমরে মরতেন সুশান্ত। আর সেই পরিস্থিতি তাঁকে ঠেলে দিয়েছিল হতাশার দিকে।