শারীরিক অত্যাচারেই ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় মুখ, জিনাতের 'লেজি আই'-এর কাহিনি জানলে শিউরে উঠবেন

সাংবাদিক হিসেবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ' দম মারো দম' গার্ল জিনাত আমান। সেখান থেকে পথবদল করেই চলে আসেন মডেলিং-এর জগতে। ১৯৭০ সালে  মিস এশিয়া প্যাসিফিক-এ বিজয়ী হয়েছিলেন জিনাত । এরপরই পুরোপুরি ভাবে সাংবাদিকতা ছেড়ে চলে আসেন বি-টাউনে। বিনোদনের জগতে আশা মাত্রই স্টাইল আর ফ্যাশনের নতুন সংজ্ঞা দিয়েছিলেন তিনি। সবাইকে খুশি করতে গিয়ে নিজের দাম্পত্য জীবনেই সবচেয়ে অখুশী ছিলেন জিনাত। কেরিয়ারের শীর্ষে থাকতেই বিয়ে করেছিলেন সঞ্জয় খানকে। কিন্তু মোহ, ভুল, সবকিছু ভেঙ্গে গেল মাত্র ১ বছরের মধ্যে। তারপর যা হয়েছিল জিনাতের সঙ্গে, জানলে চমকে উঠবেন।

Riya Das | Published : Nov 12, 2020 10:08 AM IST
111
শারীরিক অত্যাচারেই ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় মুখ, জিনাতের 'লেজি আই'-এর কাহিনি জানলে শিউরে উঠবেন

 সালটা  ১৯৭০। মিস এশিয়া প্যাসিফিক-এ বিজয়ী হয়েছিলেন জিনাত । এরপরই পুরোপুরি ভাবে সাংবাদিকতা ছেড়ে চলে আসেন বি-টাউনে। কেরিয়ার শুরুতেই বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল  জিনাতের দুটি ছবি। তারপরেই ভেবেছিলেন অভিনয় ছেড়ে দিয়ে পরিবারের কাছেই ফিরে যাবেন তিনি। 

211

একটা ফোনকলেই বদলে গেল জিনাতের জীবন। স্বমহিমায়  ফিরে এলেন 'হরে কৃষ্ণ হরে নাম' সিনেমায়। আর এই ছবিই যেন তাকে সুপারস্টারের আসনে বসিয়ে দিল। 

311


আর ডি বর্মনের সুরে ' দম মারো দম' গানে বলি ইতিহাসে আইকনিক হয়ে যায় জিনাত আমান। তারপর থেকে একের পর এক ছবি করে বলিউডে নিজের জায়গা পাকিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। 

411


বলিউডে সাফল্য এলেও হলিউডে মুখ থুবড়ে পড়েন জিনাত। হলিউডে নিজের জায়গা না করলেও বলিউডে  জিনাত যুগ বজায় ছিল দীর্ঘ কয়েক দশক। বলিউডের একঘেয়েমি ইমেজ ঝেড়ে ফেলে নতুন  ফ্যাশন স্টেটমেন্ট তৈরি করেছিলেন জিনাত।

511

তিনি দেখিয়েছিলেন পশ্চিমী পোশাকেও অভিনেত্রী হওয়া যায়। নায়িকার পুরো সংজ্ঞাটাই তিনি যেন বদলে দিয়েছিলেন রাতারাতি।  পুরোনো মিথ ঝেড়ে ফেলে তার আবেদনে পাগল হয়েছিল কয়েক প্রজন্মের দর্শক।  
611

সবাইকে খুশি করতে গিয়ে নিজের দাম্পত্য জীবনেই সবচেয়ে অখুশী ছিলেন জিনাত। কেরিয়ারের শীর্ষে থাকতেই বিয়ে করেছিলেন সঞ্জয় খানকে। সব জেনশুনেও নিজেই বেছ নিয়েছিলেন জীবনসঙ্গীকে। কিন্তু মোহ, ভুল, সবকিছু ভেঙ্গে গেল মাত্র ১ বছরের মধ্যে। 
 

711

মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। তাতেও ভুলতে পারেননি সঞ্জয়কে। তার মাসুলও দিতে হয়েছিল জিনাতকে। সম্পর্ক ভাঙনের পরও একদিন হোটেলে ডেকে পাঠান সঞ্জয়। সঞ্জয়ের প্রথম স্ত্রী এবং জনা কয়েক লোকের সামনেই চলেছিল নির্মম শারীরিক অত্যাচার তার পাশাপাশি মারধর। 

 

 

811

মারের কারণেই ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় জিনাতের মুখ। মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার ডান চোখ। 

 

 

911

সারা জীবনের জন্য লেজি আই হয়ে যায় সেটি। জীবনের এই বিতর্কিত পর্বেও মুখে কুলুপ এটেছিলেন অভিনেত্রী। 

1011

মাজহার খানের সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহ করার পর নির্যাতিত হয়েছেন অভিনেত্রী। 

1111

তারপরেও হাল ছাড়েননি জিনাত। নিজের অদম্য ইচ্ছা সাহসের পরিচয় দিয়ে তিনি আবারও ফিরেছেন বড় পর্দায়। 

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos