বর্তমানে গোটা বিশ্বে উদ্বেগ তৈরি করেছে করোনাভাইরাসের ডেল্টা আর ডেল্টাপ্লা রূপ। বিশ্বের ৮০টি দেশে ডেল্টা স্ট্রেইন পাওয়া গেছে। আর ৯টি দেশে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ডেল্টা প্লাস রূপ ধরা পড়েছে।
বিজ্ঞানীদের দাবি ডেল্টা আর ডেল্টা পাল্স দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে। করোনার নতুন দুটি রূপ নিয়ে যেথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছে চিকিৎসক আর গবেষকরা। কারণ এই দুটি রূপের কারণে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ অনিবার্য বলেও মনে করছেন অনেকে।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আশার কথা শোনাল অ্যাস্ট্রেজেনেকা। সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে অস্ট্রোজেনেকা আর ফাইজার বায়োএনটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা করোনার ডেল্টা আর কাপা ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে ব্যপাকভাবে কার্যকর।
সেল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, ডেল্টা আর কাপা রূপকে নিক্ষেপ করার জন্য দুটি শট রেজিমেন্ট দিয়ে টিকা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের রক্ত থেকে অ্যান্টিবডির কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।
বর্তমান ভ্যাকসিনগুলি B.1.617 র বিরুদ্ধ সুরক্ষা দেবে না এমন কোনও সুস্পষ্ট প্রমাণ নেই। কিন্তু গবেষণায় ডেল্টা আর কাপার একটি সাধারণ কোড দ্বারী রূপগুলি উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে রক্তে অ্যান্টিবডি নিরপেক্ষ করার ঘণত্ব কিছুটা হ্রাস পেয়েছিল। যা আগামী দিনে সংক্রণ রুখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে। গত সপ্তাহে ইংল্যান্ডের পাবলিক হেলফ একটি বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে ফাইজার ইনক আর অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি টিকাগুলি ডেল্টার বিরুদ্ধে ৯০ শতাংশ কার্যকর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গতকালই জানিয়েছে ডেল্টা রূপটি বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী সংস্করণে পরিণত হয়েছে।