করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাহি ত্রাহি রব চারিপাশে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা তার উপর আবার কোভিড দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝেই কড়া নাড়ছে তৃতীয় ওয়েভ। সকলেরই প্রাণ ওষ্ঠাগত। মাস্ক-স্যানিটাইজার সঙ্গী হলেও মৃত্যুভয় যেন দরজায় কড়া নাড়ছে। করোনার ভয়ে কাটা হয়ে ডিপ্রেশনে ভুগছে ছোট থেকে বড় সকলেই। ছোট্ট একটি শব্দের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে মান-অভিমানের একরাশ। কিন্তু ডিপ্রেশনের শিকার শুধু বড়রাই হয়, ছোটরাও এর শিকার। ডিপ্রেশনের এখন আর কোনও বয়স হয় না। ছোট থেকে বড় যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন এই মারণ রোগে। ছোটদেরও গ্রাস করছে এই ডিপ্রেশন। কীভাবে বুঝবেন আপনার সন্তান মানসিক রোগের শিকার, চিনে নিন লক্ষণগুলি।
ডিপ্রেশনের শিকার শুধু বড়রাই হয়, ছোটরাও এর শিকার। ডিপ্রেশনের এখন আর কোনও বয়স হয় না। ছোট থেকে বড় যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন এই মারণ রোগে। ছোটদেরও গ্রাস করছে এই ডিপ্রেশন।
27
ডিপ্রেশন শব্দটা শুনলেই যেন আতঙ্ক গ্রাস করে প্রত্যেককে। কারণ ডিপ্রেশনে একের পর এক প্রাণ চলে যাচ্ছে। বর্তমানে এই শব্দটা যেন আরও বেশি করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ঘরবন্দি দশায় একটানা থাকতে থাকতে বড়রা যেমন নাজেহাল, ঠিক তেমনই অবস্থা হয়েছে শিশুদেরও। কীভাবে যে ডিপ্রেশন গ্রাস করেছে আপনার সন্তানকে তা হয়তো নিজেও টের পাচ্ছেন না।
37
আপনার সন্তান যতদিন যাচ্ছে খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যাচ্ছে। কোনওকিছুই যেন তার ভাল লাগছে না। কিছু খেতে দিলে খাচ্ছে না। সবসময় বায়না করছে। যেটা দরকার সেটা না হলে অন্য কিছুই নিতে চাইছে না। কোনও কিছু ভাল না লাগলে আপনাদের উপর চিৎকার করছে।
47
করোনাকালে অনলাইনে পড়াশোনা করতে করতে নাজেহাল শিশুরা। একঘেয়েমি পড়াশোনাতেও মন নেই আপনার সন্তানের। এই ধরনের জিনিসগুলি দেখলেই এখনই সাবধান। এখনকার দিনে খুব ছোট বয়সের শিশুদের ভয়াবহ আকার নিচ্ছে এই মানসিক রোগ।
57
কারণ ৫-৬ বছরের বাচ্চাদের মধ্যে ডিপ্রেশন হু হু করে বাড়ছে। আগে দেশের বড় বড় শহরগুলিতে এই প্রবণতা অনেক বেশি ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশের প্রায় সব শহরগুলোতেই এই রোগ ক্রমশ বাড়ছে।
67
এ তো গেল বাচ্চাদের কথা। বাচ্চারা একটু বড় হতে না হতেই খাওয়ানার জন্য, কান্না থামানোর জন্য স্মার্টফোনের চেয়ে সহজ উপায় আর কিছু হয় না। সেই সহজ উপায়ই যে কত বড় ক্ষতি করছে , সেটা বুঝতে বুঝতেই ডিপ্রেশনের শিকার হচ্ছে আপনার বাচ্চাটি।
77
সুতরাং বাচ্চার শৈশব ঠিক রাখতে স্মার্টফোন থেকে শতহস্ত দূরে থাকুন। বাচ্চাকে যতটা পারবেন সময় দিন। ওর ভাললাগা খারাপলাগা গুলোকে বুঝে বন্ধুর মতো মোশার চেষ্টা করুন।