করোনা মহামারির থেকে ভারতকে বাঁচাতে পারে টিকা, মে-তে দৈনিক মৃত্য ৫ হাজার ছাড়াবে বলে আশঙ্কা মার্কিন রিপোর্টে
ভারতে ক্রমশই ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ। মে মাসের মাঝামাঝি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে। আর মৃতের সংখ্যা দৈনিক পাঁচ হাজারে গিয়ে পৌঁছাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মার্কিন গবেষণা।
Asianet News Bangla | Published : Apr 23, 2021 6:03 PM IST / Updated: Apr 26 2021, 08:12 AM IST
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য মেট্রিক্স ও ইভ্যালুয়েশন ইনস্টিটিউট (IHME) একটি সমীক্ষা করেছিল। চলতি বছর প্রকাশিত সেই সমীক্ষা রিপোর্টে ভারতের করোনাভাইরাসের মহামারির দ্বিতীয় তরঙ্গের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশব্যাপী টিকা অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও সন্তোশ প্রকাশ করা হচ্ছে।
IHME বা আইএইচএমই বিশেষজ্ঞরা এই গবেষণায় সতর্ক করে বলেছে ভারতে করোনাভাইরাস মহামারিটি আগামী কয়েক সপ্তাহে আরও খারাপ হতে চলছে। তাতে বলা হয়েছে আগামী দিনে সংক্রমণ যেমন বাড়বে তেমনই বাড়বে মৃত্যুর সংখ্যা।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে ভারত দৈনিক কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা চলতি বছর ১০ মে ৫ হাজার ৬০০তে গিয়ে পৌঁছাবে।
সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে ১২ এপ্রিল থেকে ১ অগাস্ট ৩ লক্ষ ২৯ হাজারের বেশি মানুষ মারা যেতে পারেন বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। জুলাইয়ের শেষের দিকে মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে ৬ লক্ষের বেশি হতে পারে বলেও আশক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে মার্কিন গবেষকদের রিপোর্টে।
সমীক্ষায় আরও একটি অনুমান করা হয়েছে। এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহের শেষে সার্বজনীন মাস্ক কভারেজ সংখ্যাটিকে ৭০ হাজারে নামিয়ে আনতে পারে।
মার্কিন সমীক্ষকরা ভারতের করোনাভাইরাস টিকার ওপর বিশেষ আস্থা দেখিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন জুলাই মাসের শেষে পুরো দেশবাসীকে যদি ভ্যাকসিন দেওয়া যায় তাহলে ৮৫ হাজার ৬০০-এরও বেশি মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে।
এই রিপোর্টেই বলা হয়েছে মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪০০ ছাড়িয়ে যাবে। যা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্টের সঙ্গে মিলে গেছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রিপোর্টে অনুমান করা হয়েছে যে, ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশের ২৪ শতাংশ মানুষই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
এপ্রিলের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভিড় বেড়েছে। অধিকাংশ মানুষই মাস্ক না পরে বেরিয়েছিলেন। কোভিড সংক্রান্ত আচরণ না মানার কারণেই আক্রান্তের দৈনিক গড় ৭১ শতাংশ আর মৃত্যুর হার ৫৫ শতাংশ বেড়ে গেছে বলেও মনে করা হচ্ছে।