৪৭ এ পা ক্রিকেট ঈশ্বরের, এক ঝলকে মাস্টার ব্লাস্টারের কেরিয়ারের কিছু মুহূর্ত

২৪ বছর ধরে ভারতীয় ক্রিকেটভক্তদের মুখে হাসি ফুটিয়ে গেছেন। গড়েছেন অবিশ্বাস্য সমস্ত কীর্তি। দেখে নেওয়া যাক সচিন তেন্ডুলকারের অবিশ্বাস্য কেরিয়ারের সেরা কিছু মুহূর্ত।

Sudip Paul | Published : Apr 24, 2020 9:23 AM IST / Updated: Apr 24 2020, 03:08 PM IST

123
৪৭ এ পা ক্রিকেট ঈশ্বরের, এক ঝলকে মাস্টার ব্লাস্টারের কেরিয়ারের কিছু মুহূর্ত

১৯৭৩ সালের এপ্রিলের আজকের দিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকার। নিজের পরিবারের কনিষ্ঠতম সদস্য ছিলেন তিনি। তার বাবা ছিলেন একজন লেখক, মা কাজ করতেন একটি জীবন বীমা সংস্থায়। সচিনের বাবা রমেশ তেন্ডুলকার ছেলের নাম রেখেছিলেন নিজের প্রিয় মিউজিক ডিরেক্টর সচিন দেব বর্মনের নামে। 
 

223

সচিনের ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয় ১১ বছর বয়সে। দাদা অজিত তেন্ডুলকার তাকে নিয়ে যান সচিনের জীবনের প্রথম কোচ রমাকান্ত আচরেকরের একাডেমিতে। সেখান থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাই তাকে ভবিষ্যতে কেরিয়ার গঠনে সাহায্য করেছে, এই কথা সচিন নিজেও স্বীকার করেন। 
 

323

১৯৮৯ সালের ১৫ ই নভেম্বর মাত্র ১৬ বছর বয়সে টেস্টে অভিষেক হয় সচিনের। পাকিস্তানের করাচিতে জীবনের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলেন তিনি। সেই চার ম্যাচের সিরিজে সচিন ৩৫ এর গড়ে ২১৫ রান করেছিলেন। শিয়ালকোটে একটি বাউন্সারে নাক ফেটে গেলেও তিনি মাঠ ছাড়েননি। ওই বয়সে ইমরান খান, ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিস সমৃদ্ধ পাকিস্তানি বোলিং লাইন আপ কে খেলা কতটা কঠিন ছিল তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। 

423

১৯৯০ সালের ১৪ ই আগস্ট বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসাবে টেস্টে নিজের প্রথম শতরানটি করেন সচিন। ম্যানচেস্টারে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ওল্ড ট্রাফোর্ডের মাঠে দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৯ রান করে ভারতকে ম্যাচটি বাঁচাতে সাহায্য করেন তিনি। 
 

523

১৯৯২ সালে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসাবে তিনি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শতরান করেন। সিডনিতে তৃতীয় টেস্টে তার অপরাজিত ১৪৮ এবং তার পরের ম্যাচেই তৎকালীন বিশ্বের দ্রুততম পিচ পার্থে করা ১১৪ তার কেরিয়ারের অন্যতম সেরা শতরানগুলির মধ্যে একটি। 

623

ওই বছরই বিশ্বকাপে ডেবিউ হয় তার। গোটা বিশ্বকাপে তার মোট রানসংখ্যা ছিল ২৮৩। দু বার ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন তিনি। পাকিস্তান এবং জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে তিনি খেলেছিলেন দুটি অর্ধশতরানের ইনিংস। 

723

১৯৯৪ সালে ওপেনার নভজ‍্যোত সিং সিদ্ধুর চোট থাকায় কেরিয়ারে প্রথমবার ওপেন করেন সচিন। অধিনায়ক আজহারউদ্দিন এবং ম্যানেজার অজিত ওয়াদেকরের কাছে অনুরোধ করে ওপেনিং নিশ্চিত করেন সচিন। সেই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪৯ বলে ৮২ রান করেন তিনি। শুরু হয় ওপেনার সচিনের নতুন এক অধ্যায়।
 

823

১৯৯৪ সালে সচিনের সাথে দেখা হয় তার সঙ্গিনী ডঃ অঞ্জলি মেহেতার। তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। ১৯৯৫ সালে তারা বিবাহ করেন। বর্তমানে সারা এবং অর্জুন নামে তাদের এক কন্যা এবং পুত্রসন্তান বর্তমান। 
 

923

ওয়ান ডে ক্রিকেটে ৭৮ টি ম্যাচ খেলে নিজের প্রথম শতরানটি পান সচিন তেন্ডুলকার। ১৯৯৪ সালে সিঙ্গার ওয়ার্ল্ড সিরিজ কলম্বোতে প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩০ বলে ১১০ রান করেন তিনি। 

1023

 ১৯৯৬ বিশ্বকাপে সচিন প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হন। দুটি শতরান সহ ৫২৩ রান করেন তিনি প্রতিযোগিতায়। সর্বোচ্চ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৩৭ রান। 

1123

সেই একই বছরে প্রথমবারের জন্য ভারতীয় অধিনায়কের দায়িত্ব পান সচিন। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার অধিনায়ক হিসেবে তিনি অতটা সাফল্য পাননি যতটা তিনি ব্যাটসম্যান হিসেবে পেয়েছিলেন। ২৫ টি টেস্টে এবং ৭৩ টি ওয়ান ডে ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্ব দেন তিনি। 

1223

১৯৯৮ সালে কোকাকোলা কাপের গ্রূপের শেষ ম্যাচে অনেকের মতে নিজের কেরিয়ারের সেরা ইনিংসটি খেলেন সচিন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩১ বলে ১৪৩ রান করেন তিনি। ম্যাচটি না জিততে পারলেও দলের ফাইনালে যাওয়া নিশ্চিত করেন সচিন। পরে ফাইনালেও একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শতরান করে দলকে জিততে সাহায্য করেন সচিন। 

1323

 ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও কার্যকর ছিলেন সচিন। লেগস্পিন বোলিং করে তার কেরিয়ারে মোট ২০১ টি উইকেট তুলেছিলেন তিনি। তার কেরিয়ারের সেরা বোলিংটিও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে করেন তিনি। ১৯৯৮ এ পেপসি ত্রিদেশীয় সিরিজে ৩১০ রানের লক্ষ্য তুলতে গিয়ে তার বোলিংয়ের সামনে ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৫/৩২।
 

1423

 ১৯৯৯ বিশ্বকাপ চলাকালীন সচিনের বাবা মারা যান। বাবাকে দাহ করে আবার বিশ্বকাপে খেলতে উপস্থিত হন সচিন। কেনিয়ার বিরুদ্ধে অপরাজিত ১৪০ করে ম্যাচের সেরা হন তিনি। শতরানটি উৎসর্গ করেন নিজের পিতা কে।

1523

২০০২ সালে হেডিংলে তে তিনি কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানের ২৯ টি শতরানের রেকর্ড টপকে যান। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই টেস্টে তিনি করেছিলেন ১৯৩ রান। 
 

1623

২০০৩ বিশ্বকাপে ভারত ফাইনাল হারলেও গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে সচিন ছিলেন অবিশ্বাস্য ছন্দে। ১ টি শতরান এবং ৬ টি অর্ধশতরান সহ তিনি মোট ৬৭৩ রান করেছিলেন। তার মধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করা ৭৫ বলে ৯৮ রানের ইনিংসটি ছিল সেরা। ওই ম্যাচে শোয়েব আখতারের ঘন্টায় ১৫১ কিমি বেগে ধেয়ে আসা শর্ট এবং ওয়াইড বলকে আপার কাট করে মারা ছক্কাটি বিশ্বকাপের সেরা শট বলে মনে করেন অনেকে। 

1723

২০০৮ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএল খেলতে শুরু করেন সচিন। ২০১০ এ ৬১৮ রান করে প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় এবং সেরা অধিনায়ক নির্বাচিত হন তিনি। ২০১১ তে কোচি টাসকার্স কেরালার বিরুদ্ধে আইপিএলে নিজের একমাত্র শতরানটি করেন সচিন।

1823

২০১০ সালে গোয়ালিয়রে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসাবে ওয়ান ডে ক্রিকেটে দ্বিশতরান করেন তিনি। সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১৪৭ বল খেলে এই কীর্তিটি গড়েছিলেন তিনি। 

1923

 ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পান তিনি। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে ২ টি শতরান এবং ২ টি অর্ধশতরান সহ ৪৮২ রান করেছিলেন তিনি। সচিন মানেন শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতাই তার কেরিয়ারের সেরা মুহূর্ত। 

2023

২০১২ তে এশিয়াকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আরও একটি কীর্তি গড়েন সচিন। ওই ম্যাচে শতরান করে তিনি নিজের শততম শতরান পূর্ন করেন। যদিও সেই ম্যাচে হারতে হয়েছিল ভারতকে। 

2123

২০১২ তে এশিয়া কাপেই নিজের শেষ একদিনের ম্যাচটি খেলেছিলেন, ২০১৩ তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেললেন নিজের দুশোতম এবং শেষ টেস্ট ম্যাচটি। নিজের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়েতে শেষ ম্যাচে অর্ধশতরান (৭৬) করেন তিনি। 
 

2223

২০১৪ তে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারতরত্ন উপাধিতে ভূষিত হন তিনি। ভারতীয় ক্রিকেটে তার অবদান অসীম। এর আগে কোনও ক্রীড়াব্যাক্তিত্ব এই সম্মান পাননি।

2323

২৪ এপ্রিল সচিন তেন্ডুলকরের ৪৭ তম জন্মদিন। কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাস মহামারীর ফলে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। করোনা মোকাবিলায় একাধিক সামাজিক সচেতনতার বার্তা দিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার পাশাপাশি ৫০ লক্ষ টাকার অনুদানও দিয়েছেন। দেশের এই বিপদের দিনে করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে নিজের জন্মদিন এইবছর পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর। তবে তার ক্রিকেট ঈশ্বরের এই বিশেষ দিনে এশিয়ানেট নিউজ বাংলার পক্ষ থেকে রইল অনেক শুভেচ্ছা। 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos