পর্নস্টার হতে ছেড়েছেন পরিবার, অবাক করবে মিয়া খালিফার কাহিনি
হিজাব পরে পর্নোগ্রাফি শ্যুট করে চুড়ান্ত বিপাকে পড়েছিলেন মিয়া খালিফা। স্প্যানিশ টেলিভিশিন অনুষ্ঠানে কাজ করতে করতে হঠাৎই মায়ামিতে শুরু করেন নগ্ন মডেলিংয়ের সফর। সেখান থেকেই পর্ন দুনিয়ায় পা রাখলেন মিয়া।
গুগলে মোস্ট সার্চড পর্নস্টার হিসেবে মাত্র ২২ বছর বয়সে নাম উঠে আসে মিয়ার। চোখের পলক ফেলতেই নেটদুনিয়ার হট টপিক হয়ে ওঠেন তিনি।
পরিবারের সঙ্গে এই কারণেই বিচ্ছেদ হয় তাঁর। প্রথমদিকে মিয়ার পরিবারের কেউই জানতেন না তাঁর পেশার কথা। জানার পরই তাঁকে ত্যজ্য করা হয়।
প্রথমদিকে মিয়া বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত দুঃখে থাকলেও, সময়ের সঙ্গে তিনি বুঝতে পারেন, কিছু ভুলের কোনও ক্ষমা হয় না। তাই নিজের পরিবারের সঙ্গে এই তিক্ততাকে এখন মেনে নিয়েছেন।
মিস খালিফা আজ পুরুষদের বুকের ধুকপুকুনি বাড়ালেও এক সময় নিজেকে নিয়ে যথেষ্ট হীনমন্যতায় ভুগতেন।
ছোট থেকেই গোলগাল চেহারার মেয়ে ছিলেন মিয়া। বয়স বাড়ার পাশাপাশি বাড়তে থাকে তাঁর ডিপ্রেশন।
স্কুল জীবনে ওভারওয়েট হওয়ায় অনেকেই নাকি তাঁর সঙ্গে মিশতে চাইত না, বিশেষত ছেলেরা। ওজন কমানোর বিষয়টি নিয়ে বেশ জেদ চেপে গিয়েছিল তাঁর মনে।
কলেজের শেষের দিকে তিনি শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট ঝড়িয়ে আর পাঁচজন টিনেজারের মতো হওয়ার চেষ্টা করেন।
এই ছোটখাটো বদল নিজের মধ্যে ঘটাতে ঘটাতেই একদিন তিনি বিশ্বের সেরা পর্নস্টার হয়ে ওঠেন। পর্ন সাইটের সার্চ বারে তাঁর নাম লেখেনি এমন মানুষ প্রায় নেই ধরাই চলে।
তবে পর্নোগ্রাফির দুনিয়ায় বেশ কম দিনের অথিতিই ছিলেন তিনি। এখন তিনি স্পোর্টসের সঙ্গে যুক্ত। কমেন্ট্রি করেন বেশ কিছু ক্রীড়া অনুষ্ঠানে।
ধর্ম, পরিবার সমস্ত জায়গা থেকে হুমকি, অবমাননাকে রুখে আজও তিনি নেটিজেনদের মনে ভালবাসার জায়গা নিয়ে রয়েছেন।