করোনা আবহের মধ্যে একটানা দীর্ঘদিনের লকডাউনে বন্ধ ছিল সবকিছুই। জিম থেকে সিনেমাহল, শপিং মল সবই ধীরে ধীরে খুলছে। কিন্তু জীবন যেহেতু এখন আগেপর মতোন স্বাভাবিক নয়, তাই সব কিছু খুললেই রয়েছে একাধিক নিয়ম কানুন। চলতি মাসের ৫ আগস্ট থেকে খুলে গিয়েছে জিম। স্বাস্থ্য-বিধি মেনেই জোরকদমে চলছে শরীরচর্চা। মুখে উঠছে মাস্ক, হাতে স্যানিটাইজার- সমস্ত বিধিনিষেধ মেনেই তবে শুরু হচ্ছে শরীরচর্চা। কিন্তু এটা জানেন কি মুখে মাস্ক পরে শরীরচর্চা করলে প্রাণনাশের ঝুঁকি বাড়ছে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে,মাস্ক পরে শরীরচর্চা ডেকে আনছে গভীর বিপদ।
করোনার এই আবহে জিম খুললেও সংক্রমণ নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। তবে ফিটনেস ফ্রিকদের মতে, করোনাকে রুখতে এক্সারসাইজ ভীষণ দরকার। কারণ শরীর ফিট রাখা এই সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
210
জিম তো খুলে গেছে তবে কি সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়বে না কমবে তা নিয়ে যেমন চিন্তা রয়েছে, তেমনই সমস্ত নিয়মবিধি মেনে মুখে মাস্ক পরে শরীরচর্চাতেই ক্রমশ বাড়ছে বিপদ।
310
আনলক পর্বে জিমে সবার থেকে দূরত্ব বজায় রেখেই চলছে শরীরচর্চা। জিমে ঢোকার আগে চলছে থার্মাল ক্রিনিং।
410
শরীরচর্চা করার সময় হাত গ্লাভস, মুখে মাস্ট বাধ্যতামূলক। ট্রেনারের মুখেও থাকবে মাস্ক এবং ফেস শিল্ড। সমস্ত কিছুই মেনেই শরীরচর্চা করেও ক্রমশ বাড়ছে বিপদের ঝুঁকি।
510
সম্প্রতি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে করোনা রুখতে মাস্ক কার্যকর হলেও ব্যায়াম করার সময় তা ভীষণই হানিকারক।
610
জগিং কিংবা ব্যায়াম করার সময় মাস্ক না পরার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বাড়িতে ব্যায়াম করলে মাস্ক পরার তো কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু জিমে গিয়ে শরীরচর্চার ক্ষেত্রেও চরম বিপদ ডেকে আনছে এই মাস্ক।
710
ব্যায়াম করার সময় ফুসফুসে বাতাস বেশি ঢোকে। কিন্তু মুখে মাস্ক থাকলে বাতাস ঢোকার পথে একটা বাধার সৃষ্টি হয়, যার ফলে অল্পেতেই ক্লান্ত লাগে।
810
মাস্ক পরে ব্যায়াম করলে অনেক বেশি ইনফেকশন ছড়িয়ে যাচ্ছে। এবং মুখে মাস্ক পরলে কিছুক্ষণ পর সেটা ঘামে ভিজে গিয়ে তা থেকে ইনফেকশন ছড়ায়।
910
যাদের হাঁপানি কিংবা হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা ভুল করেও মাস্ক পরে ব্যায়াম করবেন না। এতে প্রাণনাশের ঝুঁকি বাড়ছে।
1010
যারা সুস্থ রয়েছেন তারাও এবার থেকে কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে মুখে মাস্ক পরে ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকুন। জোর করে ব্যায়াম কখনওই করবেন না। ক্লান্ত লাগিয়ে থামিয়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে নিন।