বেশিক্ষণ জলের সংস্পর্শে থাকলে কুঁচকে যায় আঙুলের চামড়া, কেন জানেন

অনেক্ষণ ধরে জলের মধ্যে হাত রেখেছেন বা বেশিক্ষণ ধরে হয়তো জলে কোনও কাজ করেছেন, তারপরেই দেখবেন হাতের আঙুলগুলি কুঁচকে গিয়েছে। আঙুলের মাথার দিকগুলি মূলত কুঁচকে যায়। শীতকালে এটা সবথেকে বেশি দেখা যায়। অনেকটা বেশি সময় ধরে স্নান করার ফলেও হাতে এই ধরনের বিষয় লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু, এটা কেন হয় তা হয়তো অনেকেই জানেন না। 

Maitreyi Mukherjee | Published : Sep 11, 2021 9:45 AM IST / Updated: Sep 11 2021, 03:26 PM IST

110
বেশিক্ষণ জলের সংস্পর্শে থাকলে কুঁচকে যায় আঙুলের চামড়া, কেন জানেন

আঙুলের উপরের দিকের ত্বক কুঁচকে গেলে হাতে একটু সমস্যা হয়। কারণ ওই অংশটিকে স্পর্শ করলেও কোনও অনুভূতি হয় না। ছোটদের কাছে এটা বেশ মজার একটা বিষয়। 
 

210

শীতকালে মূলত বেশি পরিমাণে আঙুল কুঁচকে যায়। একটু বেশিক্ষণ ধরে স্নান করার ফলেই এই সমস্যা দেখা যায়। তারপর ধীরে ধীরে হাত গরম হওয়ার পর ফের আঙুলের ত্বক স্বাভাবিক হয়ে যায়। 

310

কিন্তু, এটা কেন হয় তা হয়তো অনেকেই জানেন না। তবে এতে শরীরের কোনও সমস্যা হয় না। যদিও এটা কেন হয় তা জানলে অবাক হয়ে যাবেন।

410

চামড়ার উপরিভাগে সিবাম নামক একটি তৈলাক্ত পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে। এর কাজ হল চামড়াকে রক্ষা করা। আর ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা। যাতে ত্বক শুষ্ক হয়ে না যায়। 

510

তবে বেশিক্ষণ জলে থাকার ফলে বা জল নিয়ে কাজ করার ফলে সিবাম ধুয়ে যায়। আর সেই কারণেই জল তখন আমাদের চামড়ার মধ্যে প্রবেশ করে। সেই কারণেই আঙুলের ত্বক ওইভাবে কুঁচকে যায়। 

610

তবে শুধুমাত্র হাতের ত্বকই নয়। অতিরিক্ত জল ঘাঁটার ফলে পায়ের ত্বকও এভাবে কুঁচকে যায়। তবে কিছুক্ষণ পরই আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। 

710

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আঙুলের চামড়া কুঁচকে যাওয়া একটি স্বয়ংক্রিয় স্নায়বিক প্রতিক্রিয়ারই অংশ। তবে হাত বা পায়ের স্নায়ু সঠিক না থাকলে, কোনও কারণে যদি তা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলেই তা কুঁচকে যায় না। 

810

যাঁদের হাত বা পায়ের স্নায়ু কোনও কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁদের শরীরে এই ধরনের কোনও পরিবর্তন দেখা যায়নি। 

910

ভেজা অবস্থায় অনেক সময় কোনও বস্তু শক্তভাবে ধরার ক্ষমতা অনেকটা কমে যায়। তাই তখন যাতে গ্রিপ ঠিক থাকে তার জন্য হাত ও পায়ের আঙুলের ত্বক কুঁচকে যায়। এর ফলে কোনও বস্তু ধরতে সমস্যা হয় না। 

1010

বিশেষজ্ঞদের মতে, এর সঙ্গে আমাদের পূর্বপুরুষদের জীবনযাত্রার সম্পর্ক রয়েছে। আগে জুতো বা পোশাক কিছুই ছিল না। ফলে সেই সময় ভিজে মাটিতেই কাটাতে হত দিন। সেই পরিবেশের মধ্যে তাঁদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্যই হাত ও পায়ের চামড়া কুঁচতে যেত। সেই ধারাই এখনও পর্যন্ত বজায় রয়েছে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos