এখন সারা বছরই গাজর পাওয়া যায় বাজারে। তবে শীতকালে গাজর ও বিট খাওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায়। কেউ জেনে খান, কেউ আবার এর উপকারিতা না জানার ফলেই তা খাদ্য তালিকা থেকে বাদ রাখেন।
মেদ ঝরাতে সাহায্য করে- গাজরের জলের পরিমাণ অনেকটা বেশী থাকে। তাই খাওয়ার সময় যদি গাজর খাওয়া যায় তাতে শরীরে ক্যালোরির পরিমাণও সঠিক থাকে এবং খাবার একটু কম পরিমাণে খেলেও অসুবিধা হয় না। তাই সহজেই রোগা হওয়া যায়।
চোখের সমস্যার সমাধান- গাজর ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ তাই এটি চোখের জন্য খুবই উপকারী, তাই ডায়েটে রাখুন গাজর, এতে চোখের উপকার।
ত্বকের বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে- এটা বিটা- ক্যারোটিন সমৃদ্ধি হওয়ায় ত্বকের কোশের বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে।
হার্ট ভালো রাখে- গাজরে ক্যারোটোনয়েডের পরিমাণ প্রচুর থাকে। যদি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় গাজর থাকে তাহলে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে আসে অনেকাংশে।
শরীরকে ভিতর থেকে সতেজ করে- ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ হওয়ার দরুণ এটি শরীরের ভিতর গিয়ে লিভারকে সাহায্য করে টক্সিন জাতীয় পদার্থ নির্গত করতে।
লিভারে জমে থাকা পিত্ত ও চর্বি পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে। ষ্ট্রোকের প্রবণতা কমায়-হাভার্ড ইউনিভার্সিটির তথ্যানুসারে যারা সপ্তাহে ৫ টি কিংবা তার বেশী খায় তাদের ষ্ট্রোকের সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কম হয়।
ক্যান্সারের প্রবণতা কমায়- গাজরের ক্যারোটিনের মাত্রা বেশী থাকার জন্য তা যেকোনও ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
সকালবেলা খালি পেটে সিদ্ধ করে তা খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরে নানা উপকার হয়। কিংবা যোগা করেও তা খেতে পারেন।
আবার স্যালাড হিসেবেও তা রেখে দেওয়া যেতে পারে খাদ্য তালিকায়। এতে শরীর সুস্থ থাকবে ও রোগের ঝুঁকি কমবে।