পুলওয়ামা হামলার একবছর, ঠিক কী ঘটেছিল সেই দিন, দেখুন ছবিতে ছবিতে
দেখতে দেখতে একটা বছর কেটে গেল। পুলওয়ামায় পাকিস্তানি জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর জঘন্য সন্ত্রাসবাদী হামলা ঘটেছিল ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। যখন প্রেম দিবস নিয়ে সারা দেশ মেতে, ঠিরক তার মধ্য়েই চরম ঘৃণার প্রকাশ ঘটিয়েছিল জঙ্গিরা। প্রাণ গিয়েছিল ৪৪ জন সিআরপিএফ জওয়ানের। যা পাল্টে দিয়েছে দেশের অনেক কিছু। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়েছে। সেনাবাহিনীতেও সমন্বয়ের উন্নতি ঘটাতে তিন বাহিনীর উপর একজন প্রতিরক্ষা প্রধান-কে বসানো হয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, ঠিক কী ঘটেছিল সেইদিন।
amartya lahiri | Published : Feb 14, 2020 4:04 AM IST / Updated: Feb 14 2020, 09:41 AM IST
২৫০০ জন সেনা সদস্য-কে নিয়ে ৭৮টি বাসের বিশাল কনভয় জম্মু থেকে শ্রীনগর যাচ্ছিল।
বেলা ৩টে নাগাদ পুলওয়ামায় আচমকাই উল্টো দিক থেকে কনভয়ের দিকে ছুটে আসে একটি জিপগাড়ি। তাতেই আইইডি বিস্ফোরক রাখা ছিল। সেনা বহরের মাঝামাঝি একটি বাসে ধাক্কা মারে সেটি।
সঙ্গে-সঙ্গেই তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর সেনা বহর লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলিও ছুঁড়তে থাকে জঙ্গিরা। তবে শীঘ্রই তাদের খতম করে ভারতীয় সেনা।
বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়।
আহত সেনাসদস্যদের দ্রুত শ্রীনগরের সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেনা হাসপাতালে গিয়ে আহত জওয়ানদের সঙ্গে কথাও বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
পরে রাজধানী দিল্লিতে নিয়ে আসা হয় নিহত সিআরপিএফ জওয়ানদের কফিনবন্দী দেহ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেখানে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এই হামলার দায় নিয়েছিল পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ।
এই নিয়ে সারা দেশে তীব্র বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কুশপুতুল জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। শহিদ জওয়ানদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
রাষ্ট্রসংঘ-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় একের পর এক দেশ এই ঘটনার সমালোচনা করে। এমনকী পাকিস্তানের বরাবরের বন্ধু চিন-ও এই হামলার কড়া সমালোচনা করেছিল।
এই ঘটনার পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত পাকিস্তানের উপর একটানা কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে গিয়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে বিমানহানা চালিয়ে জইশ প্রশিক্ষণ শিবির ধ্বংস করেছিল ভারত।