ধ্বংসের ধূসরতা, বাতাসে পোড়া গন্ধ, চলতে ফিরতে মিলছে লাশ - দিল্লির হিংসা ছবিতে ছবিতে
ধ্বংসললীলা। নিধনযজ্ঞ। যাই বলা হোক, মনে হচ্ছে কম বলা হচ্ছে। চারদিন ধরে তীব্র হিংসার আগুণে পোড়ার পর বৃহস্পতিবার পাারাত থেকে দিল্লি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। উত্তরপূর্ব দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকা দেখলে মনে হবে, বোধহয় যুদ্ধ চলছিল। চারিদিকে শুধুই ধ্বংসের ধূসরতা। বাতাসে পোড়া পোড়া গন্ধ। চলতে ফিরতে আচমকা পথের পাশ থেকে উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ। হিংসা যে সমাজের পক্ষে, মানবতার পক্ষে, সভ্যতার পক্ষে, কতটা ক্ষতিকর তা উত্তরপূর্ব দিল্লির এখনকার ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যাবে। গোটা জেলা জুড়ে এখন শুধুই নিরাপত্তা বাহিনীর ভারিবুটের আওয়াজ, অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেন আর ঘরে ঘরে কান্নার রোল...
amartya lahiri | Published : Feb 28, 2020 4:48 AM IST / Updated: Feb 28 2020, 10:21 AM IST
হিংসা পরবর্তী উত্তরপূর্ব দিল্লির যেন যুদ্ধ পরবর্তী কোনও শহর। একের পর এক বাড়িতে ঢুকে চালানো হয়েছে ধ্বংসযজ্ঞ। আর এখন রাস্তায় শুধুই নিরাপত্তা বাহিনীর আনাগোনা।
যমুনা বিহার হিংসার ঘটনা ভিটেমাটি হারিয়েছেন বহু মানুষ। দিল্লি-তে থাকাটা আর নিরাপদ নয় বলে মনে করছেন তাঁরা। অনেকেই দিল্লি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার পথে পা বাড়িয়েছেন। শুধু যমুনা বিহার নয়, হিংসা ধ্বস্ত অন্যান্য এলাকাতেও নিজের দেশেই উদ্বাস্তু হওয়ার এই ছবি দেখা গিয়েছে।
ব্রহ্মপুরি-তে নালায় পড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে একটি লাশ। গোটা উত্তর পূর্ব দিল্লিতেই পথে গাটে এভাবেই মিলছে দেহ।
কিছু কী আছে অক্ষত? হিংসার পর ধ্বংসস্তূপের দিকে শূন্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে এক মহিলা।
এটা শিবপুরি এলাকার একটি পার্কিং লটের ছবি। হিংসার পর এখন পড়ে রয়েছে সার সার গাড়ির কঙ্কাল।
এমনিতে খুব শান্ত এলাকা শিববিহার। কিন্তু, গত চারদিনে এই জায়গায় আগুন জ্বলেছে। একের পর এক বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে, আগুন লাগিয়ে দিয়েছে উন্মত্ত দুষ্কৃতীরা।
অশোকনগরে হামলা চলেছে বড়ি মসজিদে। মসজিদের ভিতরে আসবাবপত্র যা ছিল, যা সম্পত্তি ছিল সব পুড়ে গিয়েছে।
গুরু তেগবাহাদূর হাসপাতালের মর্গে এসে পৌঁছচ্ছে একের পর এক লাশ।
ঘরে ঘরে উঠছে স্বজনহারাদের কান্নার রোল। সেই কান্নায় কোনও সাম্প্রদায়িক বিভেদ নেই।