Published : Jul 20, 2020, 06:17 PM ISTUpdated : Jul 21, 2020, 10:28 AM IST
সোমবার থেকেই শুরু হল কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল। ভারত বায়োটেকের সঙ্গে যৌগ উদ্যোগে দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স হিউম্যান ট্রায়ালের ব্যবস্থা করেছে। সংশ্লিষ্ট গবেষকরা আশাবাদী আগামী সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যেই প্রথম পর্বের ইউম্যান ট্রায়ালের পরীক্ষার ফল সামনে আসবে। তাই পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে দেশের তৈরির করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক সামনে আসার কোনও লক্ষণ নেই। সংশ্লিষ্ট গবেষকরা জানিয়েছেন করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য ১২ টি কেন্দ্র বেছে নেওয়া হয়েছে। যারমধ্যেই অন্যতম হল নয়াদিল্লির এইমস। এইমসের চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, হিউম্যান ট্রায়াল তিনটি পর্যায়ে পরিচালিত হবে। প্রথম পর্যায়ে ১০০ জন রোগীর ওপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হবে। পরবর্তীকালে আরও ৫০জনকে চিহ্নিত করে পরীক্ষা করা হবে। ইতিমধ্যেই ১৮-৫৫ বছর বয়সী ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবক নাম নথিভুক্ত করেছে।
সোমবার প্রথম কোভ্যাক্সিনের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হল দেশে। আর দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক মানব শরীরে প্রয়োগের জন্য যে ১২টি কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে তারমধ্য অন্যতম হল অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স।
210
ইতিমধ্যেই দেশের প্রথম সারির এই হাসপাতালটিতে ৩৭৫ জন নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। এইমস হাসপাতালের চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন মানব শরীরে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক প্রয়োগ এই পরীক্ষা ব্যবস্থাটিতে মোট তিনটি পর্বে তাঁরা ভেঙেছেন।
310
আজ থেকে শুরু হয়েছে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকের প্রথম দফার প্রয়োগ। এরপর আরও দুটি ধাপে পরীক্ষা হবে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
410
প্রথম পর্যায়ের ফলাফল হাতে আসতে দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এমসের চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান আগামী সেপ্টেম্বর অথবা অক্টোবর মাস নাগাদ হাতে পাওয়া যাবে ফলাফল।
510
এইমস হাসপাতালেই ১৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবক নাম লিখিয়েছেন পরীক্ষার জন্য। যার মধ্যে থেকে ১০০ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
610
প্রথম ৫০ জনকে প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। তাতে যদি কোনও সমস্যা না হয় তাহলে পরবর্তীকালে আরও ৫০ জনের শরীকে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হবে।
710
হিউম্যান ট্রায়ালের প্রথম পর্বে ১৮-৫৫ বছর বয়সীদের বেছে নেওয়া হবে। যাদের মধ্যে শ্বাসকষ্টযুক্ত কোনও রোগী থাকবে না। থাকবে কোনও গর্ভাবতী মহিলা। পরবর্তীকালে ১২-৬৫ বছর বয়সীদের বেছে নেওয়া হবে। সেখানে ৭৫০ জনের শরীরে পরীক্ষা করা হবে।
810
প্রথম পর্বে দেখা হবে কোভ্যাক্সিন কতটা নিরাপদ। পাশাপাশি দেখা হবে কত কম পরিমাণে ডোজ দেওয়া যেতে পারে।
910
যদি দেখা যায় কোভ্যাক্সিন নিরাপদ তাহলেই পরবর্তীকালে ডোজের পরিমাণ বাড়ানো হবে। প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষার ফলাফল জানতে আগামী ২-৩ মাস অপেক্ষা করতে হবে বলেও চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন।
1010
ভারত বায়োটেকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আইসিএমআর করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করেছে। এই প্রতিষেধক তৈরিতে পুনের ভাইরোলজি বিভাগ সাহায্য করেছে।