ঘুমের মধ্যেই চিরঘুমে ৪৩ শ্রমিক, দেখুন গ্রাউন্ড জিরো থেকে দিল্লির ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ছবি
দিল্লির রানি ঝাঁসি রোডের আনাজমাণ্ডির এক কারখানায় ভোররাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ৪৩ শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। শীতের ভোরে আরামের ঘুমের মধ্যেই চিরঘুমে চলে যান এই শ্রমিকরা। আরও বহু শ্রমিককে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অকুস্থলের যে ছবি সামনে এসেছে, তাতেই ঘটনার ভয়াবহতা স্পষ্ট।
amartya lahiri | Published : Dec 8, 2019 6:08 AM IST / Updated: Dec 08 2019, 11:54 AM IST
ভোররাতে নয়াদিল্লির রানি ঝাঁসি রোডের আনাজ মান্ডি এলাকায় এক কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। সেই সময় ওই ভবনে গভীর ঘুমে অচৈতন্য ছিলেন কারখানার শ্রমিকরা।
আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় দমকলের কয়েকটি ইঞ্জিন। এরপর ধাপে ধাাপে মোট ৩০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আসেন পুলিশ কর্মীরাও। শুরু হয় আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধারকাজ।
কারখানা বাড়িটির উপরের দিকের জানলা দিয়ে আগুনের শিখা ও গলগল করে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।
কারখানা বাড়িটি থেকে প্রাণভয়ে শ্রমিকরা নিজেরাই বড় মই লাগিয়েে ও বিছানার চাদর বেঁধে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন। তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন দমকলকর্মীরা।
অ্যাম্বুল্যান্সস আসার আগেই স্থানীয় স্তরে অটো ও অন্যান্য গাড়ি ডেকে পুলিশ ও দমকলকর্মীরা আহতদের হাসপাতালে পাঠান।
ঘটনাস্থল অত্যন্ত ঘিঞ্জি হওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যহত হয়।
ঘটনাস্থলে াসেন দিল্লি দমকলের ডেপুটি ফায়ার চিফ অফিসার সুনীল চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, আনাজ মান্ডির ভিতরে ৬০০ বর্গফুট প্লটের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা এই কারখানাটির ভিতরে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। তাই দমকলকর্মীরা উদ্ধারকাজে সমস্যায় পড়েছেন। তবে তারমধ্যেই য়থাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
দমকলকর্মীরা এরপর প্রায় ৫০ জন শ্রমিককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন। তাঁরা অধিকাংশ নাকে-মুখে ধোঁয়া ঢুকে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কয়েকজন অল্পবিস্তর অগ্নিদগ্ধও হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় লোকনায়ক হাসপাতালে পাঠানো হয়। ইপ্রত্যেকেই হয়েছে।
লোকনায়ক হাসপাতালের মেডিকাল সুপারিন্টেন্ডেন্ড জানিয়েছেন, তাঁদের ডাক্তাররা জরুরি ভিত্তিতে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে আনার পর ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দিল্লি দমকল বিভাগের চিফ ফায়ার অফিসার অতুল গর্গ। তিনি জানিয়েছেন যাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে, তারমধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
জানা গিয়েছে ছয়তলা এই কারখানাটিতে স্কুল ব্যাগ থেকে শুরু করে জলের বোতল এবং বিভিন্ন ধরনের জিনিস মজুত করে রাখা ছিল। এতেই ধোঁয়া অত্যন্ত বিষাক্ত হয়ে উঠেছিল।
কারখানাটিতে যে ধরনের বস্তু রাখা ছিল তাতে প্রচুর পরিমাণ কেমিক্যালও ছিল বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার জন্য মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল।
ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।