কৃষি বিল নিয়ে প্রতিবাদ, সাসপেন্ড হলেন রাজ্যসভার ৮ বিরোধী সাংসদ, কক্ষ ছাড়ার নির্দেশ ডেরেক ও দোলাকে
রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল ডেরেক ও’ব্রায়ান ও দোলা সেন সহ ৮ জন সাংসদকে। কৃষি বিপণন সংক্রান্ত বিল নিয়ে হই-হট্টগোল করার শাস্তিস্বরূপ তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।
Asianet News Bangla | Published : Sep 21, 2020 5:10 AM IST / Updated: Sep 21 2020, 12:22 PM IST
ভারতীয় গণতন্ত্রের পীঠস্থান সংসদ। আর সেই স্থানেরই ‘মর্যাদা লঙ্ঘনের দোষে’ তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন-সহ আট জন সাংসদকে রাজ্যসভা থেকে এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করলেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু।
সোমবার অধিবেশনের শুরুতেই ডেপুটি চেয়ারম্যানের সঙ্গে অভব্যতা বিষয়টি উঠলে নাইডু সাফ জানান, সাংসদের এমন ব্যবহার মেনে নেওয়া যায় না। তাঁদের আত্মসমীক্ষা করা উচিত।
সোমবার অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল, তা খারিজ করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। তিনি জানান, সংবিধানের ৯০ ধারার অধীনে সেই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়।
অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছিলেন তৃণমূল, কংগ্রেস, ডিএমকে, সিপিআই, আপ, এনসিপি, টিআরএস, জেডিএস, আরজেডি-সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের সাংসদরা।
তারপর সরকারপক্ষের তরফে আট সাংসদকে সাসপেন্ড করার জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। যাঁরা রবিবার রাজ্যসভার হাঙ্গমায় যুক্ত ছিলেন।
সাসপেন্ড হওয়া ৮ সাংসদের মধ্যে রয়েছেন দুই তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন ও দোলা সেনও।
বরখাস্তের তালিকায় থাকা অন্যান্য সাংসদরা হলেন, আপের সঞ্জয় সিং, কংগ্রেসের রাজীব সতাভ, সিপিআইএম-এর কেকে রাগেশ, কংগ্রেসের সৈয়দ নাসির হুসেন, কংগ্রেসের রিপুন বোরা, ও সিপিআইএম-এর এলামারাম করিম।
রবিবার বিরোধীদের যে সাংসদরা কৃষি বিল নিয়ে রাজ্যসভায় তীব্র বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সোমবার অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদরা। তারই প্রেক্ষিতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বিরোধী সাংসদদের আচরণের তীব্র নিন্দা করে আটজনকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন।
রবিবার রাজ্যসভায় কৃষি বিল পেশ করার পরই বিরোধী সাংসদরা প্রবল বিক্ষোভ শুরু করেন। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।
বিরোধী বিক্ষোভে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল রাজ্যসভার কাজ। এরপর দেড়টায় ফের অধিবেশন শুরু হতেই বিরোধীরা আগের অবস্থানই নিতে থাকেন।
যদিও ডেরেক সাফ জানিয়েছেন, তিনি রুল বুক ছেঁড়ার মতো কাজ করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে সোমবারই বিরোধীদলের সদস্যেরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবেন বলে সূত্রের খবর। তাঁদের দাবি, গণতন্ত্রের পীঠস্থানে ‘গণতন্ত্র হত্যা’ করা হয়েছে। গায়ের জোরে এই কৃষি সংক্রান্ত বিতর্কিত দু’টি বিল পাশ করানো হল রাজ্যসভায়।