আইসিইউ বেড পেতে ছুটছে কালঘাম, মাত্র ৪ % পাচ্ছেন রুটিন প্রক্রিয়ায়, সমীক্ষায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে। করোনা  পরিস্থিতি কিছুতেই  বাগে আনা যাচ্ছে না। তবে এর মাঝেই  আশা জাগাচ্ছে সুস্থতার হার। তবে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা গত মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে হাসপাতালে মৃত্যুর হার আগের থেকে প্রায় অপরিবর্তিতই রয়েছে। এরমধ্যেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর এক রিপোর্ট।

Asianet News Bangla | Published : Sep 21, 2020 3:09 AM IST / Updated: Sep 21 2020, 09:47 AM IST

112
আইসিইউ বেড পেতে ছুটছে কালঘাম, মাত্র ৪ %  পাচ্ছেন রুটিন প্রক্রিয়ায়, সমীক্ষায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে। করোনা  পরিস্থিতি কিছুতেই  বাগে আনা যাচ্ছে না। তবে এর মাঝেই  আশা জাগাচ্ছে সুস্থতার হার। তবে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা গত মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে হাসপাতালে মৃত্যুর হার আগের থেকে প্রায় অপরিবর্তিতই রয়েছে। এরমধ্যেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর এক রিপোর্ট।

212

ভারতের জনস্বাস্থ্য ফাউন্ডেশনের এপিডেমিওলজিস্ট ডাঃ গিরিধর আর বাবু জানিয়েছেন, "আনলক পর্যায়ে অনেক তরুণই ফের কাজ শুরু করেছেন। সংক্রামিত হলেও,তাদের স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তবে যুবাদের কারণে প্রবীণরা সংক্রামিত হলে তাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সংক্রমণের ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতে পারে।"

312

১৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতে করোনার ১০ লক্ষ পজেটিভ কেসের মধ্যে ৩.৫% রোগীর অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়েছে। ২.২% মানুষের প্রয়োজন হয়েছে আইসিইউ পরিষেবা। পাশাপাশি ০.৩% রোগীকে রাখা হয়েছে ভেন্টিলেশনে। 

412

নতুন সংক্রমণে উদ্বেগ বাড়লেও সুস্থতার হারেও রেকর্ড তৈরি করতে পেরেছে ভারত। সুস্থতার হারের নিরিখে ইতিমধ্যেই আমেরিকাকে পেছনে ফেলে দিয়েছে ভারত। বর্তমানে দেশে করোনায় মুক্তির হার প্রায় ৮০ শতাংশ। 


 

512

এসবের মধ্যেই উঠে এল এক উদ্বেগের কারণ। করোনা রোগীদের মধ্যে যাদের আইসিইউ বেডের প্রয়োজন হচ্ছে তাঁদের মধ্যে মাত্র ৪ শতাংশ মানুষই নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় তা পাচ্ছেন। আর ৭৮ শতাংশ রোগী নিজেদের ব্যক্তিগত যোগাযোগ ব্যবহার করেই আইসিইউ-এর ব্যবস্থা করতে পারছেন। 

612

সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বেড পেতে রোগীর  পরিবার-পরিজনদের সমস্যা পড়তে হচ্ছে।  দেশজুড়ে এনিয়ে  বহু অভিযোগ পাওয়ার পরে, লোকাল সার্কেল এই বিষয়ে এইকটি সমীক্ষা চালায়। দেশের ২১১ জেলার ১৭ হাজার মানুষ এই সমীক্ষায় অংশ নেন। 

712

সমীক্ষায় নাগরিকরা জানিয়েছেন   কোভিড -১৯ আক্রান্তদের আইসিইউ বেড  পাওয়ার বিষয়ে তাদের সামাজিক নেটওয়ার্ককে কাজে লাগাতে হচ্ছে। সঠিক প্রতিক্রিয়া বেড মিলছে না। 
 

812

সমীক্ষার  অবশ্য ৫৫  শতাংশ ব্যক্তি বলেছেন যে তাদের নেটওয়ার্কের এমন কেউ ছিল না যার কোভিড চিকিৎসায়  আইসিইউ বেডের প্রয়োজন ছিল। 

912

৪০ শতাংশ  জানিয়েছেন আইসিইউ বেড না পেয়ে তাদের সরকারের কাছে অভিযোগ জানাতে হয়েছে। এমনকি ৭ শতাংশের অভিযোগ, আইসিইউ বেডটি সুরক্ষিত করতে তাদের সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ দিতে হয়েছিল। মাত্র ৪ শতাংশ বলেছেন যে তারা রুটিন মাফিক  আইসিইউতে বেড পেয়েছেন।

1012

 দিল্লিতে রোগীদের  অভিযোগ ছিল যে,  দিল্লি সরকারের অ্যাপে  রাজধানীর  কয়েকটি করোনা হাসপাতালে আইসিইউ বেড পাওয়া যায়, তবে, তারা যখন সেই হাসপাতালে আবেদন করেন,  তখন তাদের বলা হয় বেড নেই।

1112

সম্প্রতি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ৮০ শতাংশই আইসিইউ বেড সংরক্ষিত রাখতে হবে করোনা রোগীদের জন্য। এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল কেজরি সরকার। 

1212

এদিকে  স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে দেশের ৬০ শতাংশ করোনা রোগী ছড়িয়ে রয়েছে পাঁচটি রাজ্যে। অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর ৬০ শতাংশ রয়েছে এই পাঁচ রাজ্যে। আরও জানা গিয়েছে মোট ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পাঁচ হাজারেরও কম অ্যাক্টিভ রোগী রয়েছে।

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos