দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে উৎসবের মরশুমকেই বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। খরচ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের দেওয়া হচ্ছে টাকা। আর এরই মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদেরই নয়, দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সহজ কিস্তিতে রাজ্যগুলিকেই আর্থিক সুবিধে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সরকারি কর্মীদের নগদ জোগান
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থার কর্মীদের জন্য এলটিসির টাকা নগদে দেওয়ার প্রকল্প। ২০১৮-২১ এর মধ্যে এলটিসি না নিলে নগদ নেওয়ার সুবিধে।
210
শর্ত
বিমান বা ট্রেনের ভাড়ার তিন গুণ টাকা বা লিভ এনক্যাশমেন্টের সমান টাকার জিনিসপত্র ২০২১ সালের ৩১ মার্চের আগে কিনতে হবে। এমন জিনিস কিনতে হবে যাতে ১২ শতাংশ বা তারও বেশি জিএসটি দিতে হয়।
310
উৎসবের জন্য আগাম ১০ হাজার টাকা
সার্বাধিক ১০টি কিস্তিতে শোধ দিতে হবে। স্টেট ব্যাঙ্কের রুপে কার্ডের মাধ্যমে দেওয়া হবে। এই কার্ড থেকে এটিএমএ টাকা তোলা যাবে না। শুধু কেনাকাটা করা যাবে। এই টাকাও খরচ করতে হবে ২০২১ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে।
410
সরকারের লাভ
আর্থিক সুবিধে পাবে সরকার। কারণ বাজারে মোট ৭৩ হাজার কোটি টাকার চাহিদা তৈরি হবে। যা বেড়ে ১ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
510
কী ভাবে?
কেনাকাটা বাড়তে পারে মোট ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এলটিসি নগদ ভাঙানোর মাধ্যমে ২৭ হাজার কোটি টাকা। আর আর উৎসবের আগাম হিসেবে আগাম ৮ হাজার কোটি টাকা।
610
বাড়তি খরচ
পরিকাঠামো উন্নয়নে কেন্দ্রের খরচ করবে ২৫ হাজার কোটি টাকা। সড়ক, প্রতিরক্ষা, পরিকাঠামো, দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, জল সরবরাহ নগরোন্নয়ে কেন্দ্র অতিরিক্ত টাকা খরচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
710
রাজ্যগুলিকে ঋণ
রাজ্যগুলিকে ৫০ বছরের জন্য ১২ হাজার কোটি টাকা সুদমুক্ত ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উত্তর পূর্বের ৮টি রাজ্যের জন্য বরাদ্দ ১৬ হাজার কোটি টাকা। উত্তরাখণ্ড আর হিমাচলের জন্য ৯ হাজার কোটি টাকা।
810
সুবিধে পারেব বাকিরাও
অন্যান্য রাজ্যের দন্য ৭৫০০ কোটি কাটা বরাদ্দ করা হয়েছে। অর্থ কমিশনের সূত্র মেনে ভাগ করা হবে। দুই কিস্তিতে ঋণ দেওয়া হবে।
910
পশ্চিমবঙ্গের ভাগে
এই রাজ্য পেতে পারে ৫৬৮ কোটি টাকা। এক দেশ এক রেশন কার্ড, ব্যবসার সহজ পরিবেশসহ একাধিক ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির জন্য আরও ৩ হাজার কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে।
1010
পরিকাঠামোয় খচর
রাজ্যকে ঋণ ও কেন্দ্রের বাজ়তি খরচ মিলিয়ে অতিরিক্তি ৩৭ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সরকারের খরচ হবে ২৫ হাজার কোটি টাকা।