কোমর ভেঙেছে তাও কীভাবে কাশ্মীরে বেড়ে চলেছে সন্ত্রাস, কী এমন দাওয়াই দিয়েছে পাক চাঁইরা
বর্তমানে নেতৃত্ব ছাড়াই কাশ্মীরে বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ। বেশিরভাগ জঙ্গি কমান্ডার নিহত। ১২ শীর্ষ কমান্ডারের ছয়জনকেই খতম করেছে সেনা। এই অবস্থায় কোন নতুন রাস্তা নিল জঙ্গি দলগুলি?
amartya lahiri | Published : Aug 22, 2020 10:26 PM / Updated: Aug 27 2020, 02:40 PM IST
বর্তমানে কাশ্মীরে সন্ত্রাস চলছে নেতৃত্ব ছাড়াই। কারণ বেশিরভাগ সন্ত্রাসী কমান্ডার কাশ্মীরে নিহত হয়েছেন। হিজবুল-এ রিয়াজ নাইকু মারা যাওয়ার পরে যাকে কমান্ডার করা হয়েছিল, তাকেও খতম করা হয়েছে। লস্কর-এর অবস্থাও তথৈবচ। সাজ্জাদ হায়দার মারা যাওার পর নাসিরকে কমান্ড দেওয়া হয়েছিল। এই সপ্তাহে সেও নিহত হয়েছে সেনার গুলিতে। তাই হিজবুল ও লস্করের এখন কেউ কমান্ড দেওয়ারই নেই। জইশ-মহম্মদের রয়েছে, তবে তার জন্যও সেনার অভিযান চলছে।
চলতি বছরের শুরুতেই নিরাপত্তা বাহিনী উপত্যকার জঙ্গি সংগঠনগুলির ১২ জন শীর্ষ কমান্ডারের একটি তালিকা তৈরি করেছিল। রিয়াজ নাইকু, সাজ্জাদ হায়দার, নাসির, উসমান, ইয়াসির কারি, ফৌজি ভাই, ওয়ালিদ - এদের মধ্যে অর্ধেকই এখন বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত।
আইজি কাশ্মীর বিজয় কুমার বলেছেন উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদের কোমর ভেঙে গিয়েছে। জঙ্গি সংগঠন চালানোর মতো আর বিশেষ নেতা পরে নেই। নিরাপত্তা বাহিনী কাশ্মীরে দারুণ সাফল্য পাচ্ছে। তালিকার বাকি কমান্ডাররাও শীঘ্রই নিহত হবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
একদিকে কমান্ডারদের তালিকা তৈরি করে বেছে বেছে তাদের নিশানা করা হচ্ছে, অন্যদিকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ-এর ক্ষেত্রেও সফলভাবে বাধা দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসতে পারছে না। এই কারণে কমান্ডারের অভাব প্রকট হয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে আসতে পারলে পাকিস্তান থেকে বড় মাথাদের পাঠানো হত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন পরিচালনা করার জন্য।
তাই বলে বসে নেই সন্ত্রাসবাদীরা। পাকিস্তান থেকে এই জঙ্গিদলগুলির মূল চাঁইরা স্থানীয় কমান্ডারের ঘাটতি মেটাতে কাশ্মীরের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলিকে একটি ব্যানারে অর্থাৎ এক হয়ে হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। যাতে কমান্ডারহীন সন্ত্রাসবাদীদের বাঁচানো যায়। পাকিস্তানে এই জঙ্গি গোষ্ঠীদের চাঁইরা একসঙ্গে বসে আক্রমণের কৌশল তৈরি করছে। তারপর তা উপত্যকার বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীরা একসঙ্গে মিলিত হয়ে জেনে নেয়। এইভাবে, সমস্ত গোষ্ঠী নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করছে। কাশ্মীরে অতি সাম্প্রতিক অন্তত দুই থেকে তিনটি আক্রমণ জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি একসঙ্গে মিলেই চালিয়েছে।
জানা গিয়েছে কাশ্মীরে এখন লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন, এজিএইচ, আল বদর - এই কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। সব মিলিয়ে জঙ্গিদের মোট সংখ্যা হবে ১৯৫-এর কাছাকাছি। সংখ্যাটা কম হলেও তা প্রতিদিন বাড়ছে বলেই জানা গিয়েথে নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে। বহু যুবকই বিভ্রান্ত হয়ে সন্ত্রাসবাদের পথে ঝুঁকছেন।