দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও আর্থিক সংকোচন অব্যাহত, দেশের ইতিহাসে প্রথম আর্থিক মন্দা

Published : Nov 27, 2020, 07:30 PM ISTUpdated : Nov 27, 2020, 11:39 PM IST

দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও দেশের আর্থনীতি ঋণাত্মকখাতে যাচ্ছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক অর্থা জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের জিডিপি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে সংকোচন অব্যাহত রয়েছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে জিডিপি কমেছে ৭.৫ শতাংশ। এবার ভারত প্রযুক্তিগতভাবে মন্দায় পড়েছে বলা যেতে পারে।   

PREV
17
দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও আর্থিক সংকোচন অব্যাহত, দেশের ইতিহাসে প্রথম আর্থিক মন্দা

প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি সংকুচিত হয়েছিল ২৩. ৯ শতাংশ। সেখান থেকে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়াল দেশের অর্থনীতি। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি ৭.৫ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। 

27

 জাতীয় পরিসংখ্যন অফিসে আজ দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক প্রকাশিত হয়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী ১৯৯৬ সালের পর এই প্রথম ভারত টানা পরপর দুটি ত্রৈমাসিকে আর্থিক মন্দার কবলে পড়ল দেশ। আর পরপর দুটি ত্রৈমাসিকে জিডিপির সংকোচন হলে ধরে নেওয়া হয় আর্থিক মন্দার কবলে পড়েছে দেশ। 
 

37

সরকারি তথ্য অনুসারে ২০১১-১২ অর্থবর্ষে দ্বিতীয় সারিতে জিডিপির পরিমাণ ছিল ৩৩.১৪ লক্ষ কোটি টাকা। সেখানে ২০১৯-২০ সালে জিডিপির ছিল ৩৫.৮৪ লক্ষ কোটি টাকা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী সেখানে জিডিপিতে ৭.৫ শতাংশ সংকোচন দেখা যায়। 

47

চলতি অর্থবর্ষে মোট রাজস্ব ঘাটতির পূর্বভাসের মাত্রা ১১৯ শতাংশের হার ছাড়িয়ে যাবে বলেই জানান হয়েছিল। এই ঘাটতি এপ্রিল থেকেই অক্টোবরের মধ্যে দেখা গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত আরও চার মাস বাকি আছে। 

57

আর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে ডিসেম্বরে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে জিডিপি সংকোচনের হার আরও একটু কমবে। তখন মোট জাতীয় উৎপাদন সংকুচিত হবে তিন শতাংশ। আর্থিক বছেরের শেষ ক্রিমাসিকে জিডিপি সংকুচিত হবে ০.৫ শতাংশ। সেক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে গত চার দশকে এটাই দেশের সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি। 

67

করোনাভাইরাসের মহামারির রুখতে দেশ প্রথম দিকে কঠোর লকডাউনের পথে হেঁটেছিল। সেই সময় প্রায় স্তব্ধ ছিল দেশের অর্থনীতির চাকা। সেই সময় থেকেই দেশের কাজ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। কমেছিল বেতন। প্রভাব পড়েছিল ছোট ব্যবসায়ে।

77

এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে আগামী বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হাতে আসবে বলেও মনে করা হচ্ছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতিবীদরা মনে করছেন আগামী বছরের শুরু থেকেই ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বাড়বে। তাতে কিছুটা হলেও আর্থিক মন্দা কেটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

click me!

Recommended Stories