শুধু প্রবেশদ্বারেই মাত্র ১২৫ কেজি সোনা! খুলে গেল ঐতিহাসিক নরসিংহ মন্দির

সোমবার (২৮ মার্চ) ফের খুলে দেওয়া হল, তেলেঙ্গানার ইয়াদাদ্রিতে অবস্থিত শ্রী লক্ষ্মী নরসিংহ স্বামী মন্দির (Sri Lakshmi Narasimha Swamy Temple in Yadadri )। ২০১৬ সালে এই ঐতিহাসিক মন্দিরটির পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। তারপর, এদিন বিস্তৃত ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, যজ্ঞাদির পর, মন্দিরটি ফের খুলে দেওয়া হল ভক্তদের জন্য। রাজ্যের সিএম কে চন্দ্রশেখর রাও, নিজে এই আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নেন। প্রসঙ্গত তাঁর আধ্যাত্মিক গুরু চিন্না জেয়ার স্বামীই মুনর্নির্মিত মন্দিরের দরজা ফের খোলার শুভ সময় নির্ধারণ করেছিলেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই নবরূপে গড়ে ওঠা ঐতিহাসিক মন্দিরটি সম্পর্কে - 

Web Desk - ANB | Published : Mar 28, 2022 1:26 PM IST

18
শুধু প্রবেশদ্বারেই মাত্র ১২৫ কেজি সোনা! খুলে গেল ঐতিহাসিক নরসিংহ মন্দির

শ্রী লক্ষ্মী নরসিংহ স্বামী মন্দিরটি, ইয়াদাদ্রি মন্দির নামেই বেশি পরিচিত। এটি তেলেঙ্গানার ইয়াদাদ্রি ভুবনগিরি জেলার ছোট শহর ইয়াদাগিরিগুত্তার একটি পাহাড়ের উপর অবস্থিত। এই মন্দিরে নরসিংহ অবতারে পূজিত হন ভগবান বিষ্ণু। ২০১৬ সালে এই ঐতিহাসিক গুহা মন্দিরের একটি বৃহৎ সম্প্রসারণ এবং পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। 
 

28

স্কন্দপুরাণ অনুসারে, মহর্ষি যদ এখানে নরসিংহ রূপে ভগবান বিষ্ণুর তপস্যা করেছিলেন। তাঁর তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে ভগবান তাঁর সামনে নিজেকে পাঁচটি রূপে প্রকাশ করেন - জ্বালা নরসিংহ, গণ্ডবেরান্দ নরসিংহ, যোগানন্দ নরসিংহ, উগ্র নরসিংহ এবং লক্ষ্মী নরসিংহ। এই কারণে, পাহাড়ের চূড়ায় লক্ষ্মী-নরসিংহদেব মন্দিরের প্রধান গুহায় নরসিংহের পাঁচ রূপই পাথরে খোদাই করা রয়েছে। 

38

এদিন মন্দিরের দরজা খোলার আগে, করা হয় 'মহা সুদর্শন যজ্ঞ'। এর জন্য একশ একরের একটি যজ্ঞ বাটিকা এবং মোট ১০৪৮টি যজ্ঞকুণ্ডল তৈরি করা হয়েছিল। হাজার হাজার পুরোহিত ও তাঁদের সহকারীরা এই আচারে অংশ নেন। 
 

48

নয়া মন্দির কমপ্লেক্সটি প্রায় ১৪.৫ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। তবে, মন্দিরকে কেন্দ্র করে যে জনপদ তৈরির প্রকল্প রয়েছে, তার মোট এলাকার পরিমাপ ২৫০০ একর। এর পুনর্নির্মাণে খরচ হয়েছে ১৮০০ কোটি টাকা।  

58

বিশাল এই মন্দিরের একটি অন্যতম বিশেষত্ব হল এর পুনর্নির্মাণ কাজে সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়নি। মন্দিরের পুনর্নির্মাণে ২.৫ লক্ষ টন গ্রানাইট ব্যবহার করা হয়েছে। এই গ্রানাইট পাথর অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশম থেকে আনা হয়েছে। 
 

68

এছাড়াও মন্দিরের প্রবেশদ্বারগুলি তৈরি করা হয়েছে পিতল দিয়ে। তার উপর সোনা দিয়ে কারুকার্য করা হয়েছে। মন্দিরের গোপুরম অর্থাৎ প্রধান প্রবেশদ্বারটিতেই ১২৫ কেজি সোনা ব্যবহার করা হয়েছে। গত ৪ বছর ধরে প্রতিদিন প্রায় ৫০০টি করে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। 
 

78

এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর এবং তাঁর মন্ত্রীসভার অনেক মন্ত্রীই সোনা দান করেছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রায় দেড় কেজি সোনা দান করা হয়েছে কেসিআরের পরিবারের তরফে। প্রসঙ্গত তাঁর আধ্যাত্মিক গুরু চিন্না জেয়ার স্বামীই মুনর্নির্মিত মন্দিরের দরজা ফের খোলার শুভ সময় নির্ধারণ করেছিলেন। 

88

এই মন্দিরের নকশা তৈরি করেছেন বিখ্যাত ফিল্ম সেট ডিজাইনার আনন্দ সাই এবং প্রধান স্থপতি পি মধুসূধন। সিল্পা এবং আগামা নীতির উপর ভিত্তি করে তৈরি প্রাচীন স্থাপত্যের নকশা তাঁরাই খুব ভাল বোঝেন বলেই তাঁদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। 
 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos