রীতিমত রহস্যময়ী স্বপ্না সুরেশ, কূটনৈতিক প্রভাব খাটিয়েই ৩০ কিলো সোনা আমদানি করেছিল

কেরল সোনা পাচারকাণ্ডে এনআই-এর হাতে  ধরা পড়ে স্বাপ্না সুরেশ ও তার তিন সঙ্গী। আরব আমিরশাহী থেকে কেরলের তিরুবন্তপুরমের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে কার্গো বিমান করে সোনা আনা হয়েছিল বলে দাবি করছে এনআইএ। আর সেই পাচারের মূল ষড়যন্ত্রী স্বপ্না সুরেশ।  কেরলের সরকারি  মহলে যার গতিবিধি ছিল অবাধ।তার যাতায়াত ছিল পিনারাইয়ের কার্যায়লতেও। যা নিয়ে রীতিমত সরব হয়ে উঠেছে কেরলের রাজ্যরাজনীতি। কেরলের বাম সরকারকে কোনঠাসা করতে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস। যদিও আগেই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিয়জন আগেই তদন্তে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। 
 

Asianet News Bangla | Published : Jul 12, 2020 12:15 PM IST / Updated: Jul 12 2020, 06:21 PM IST
110
রীতিমত রহস্যময়ী স্বপ্না সুরেশ, কূটনৈতিক প্রভাব খাটিয়েই ৩০ কিলো সোনা আমদানি করেছিল

ন্যাশানাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি স্বপ্না সুরেশকে গ্রেফতার করে বেঙ্গালুরুতে। কিন্তু লকডাউনের কড়া নজরদারী উপেক্ষা করে কী বলে স্বপ্না প্রতিবেশী রাজ্যে পৌঁছে গেল? যা নিয়ে কেরলের বাম সরকারকে রীতিমত নিশানা করেছে কংগ্রেস ও বিজেপি। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রশ্ন স্বপ্না সরিয়ে দেওয়ার ছক কষা হয়নি তো

210

কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে আবাধ যাতায়াত ছিল স্বপ্না সুরেশের। মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। যা নিয়ে রীতিমত কোনঠাসা বাম সরকার। পিনারাই বিজয়ন তড়িঘড়ি দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে বদলি করেছেন বিতর্ক এড়াতে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ একজন নয় মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক রেখে চলত স্বপ্না। 

310

মুখ্যমন্ত্রীর দফতর কি জড়িয়ে রয়েছে কেরলের সোনা পাচার কাণ্ডে। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠতে সুরু করেছে প্রশ্ন। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রায়া দেননি পিনারাই বিয়জন। 

410

 সোনা পাচারকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত স্বপ্না ছাড়াও তার তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। অভিযুক্তরা হল সন্দীপ নায়ার, সারিথ এর্নাকুলমের বাসিন্দা ফাজিল ফরিদয়। আগামী বুধবার প্রত্যেককে আদালতে পেশ করা হবে বলে সূত্রের খবর। 
 

510

আরব আমিরশাহীর দূতাবাসের প্রাক্তন জনসংযোগ আধিকারিক সরিথ কুমারকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। স্বপ্নাও আরব আমিরশাহী দূতাবাসের কাজ করেছিল। সেই থেকেই তাদের যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে করছে তদন্তকারীরা। 

610

এনআইএ সূত্রের খবর ২৪ ক্যারটের ৩০ কেজি সোনা আমদানি করা হয়েছিল। বারতে যার মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেআইনি কর্যাকলাপ প্রতিরোধ আইন (১৯৬৭)-এর ১৬, ১৭, ১৮ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। 
 

710

আগে থেকেই কেরল হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানিয়েছিল স্বপ্ন। কিন্তু সেই জামিনের আবেদনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে এনআইএ ও শুল্ক দফতর। স্বপ্নার দায়ের করা পিটিশনে বলা হয়েছে তাকে ইচ্ছেকৃতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। 
 

810

পাল্টা স্বপ্নার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে বলা হয়েছে, সোনা পাচারের জন্য কূটনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কনস্যুলেটের নথি ব্যবহার করেছে সে। 
 

910

একটি সূত্র বলছে শিবশঙ্করের সুপারিশেই চারকি পেয়েছিল স্বপ্না। সোনা পাচারে অভিযুক্ত স্বপ্নার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

1010

বর্তমানে স্বপ্না কেরলের তথ্য প্রযুক্তি ইনফ্রাস্টাকচার লিমিটেডে কর্মরত। তার মাথার ওপর ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়েনের ঘনিষ্ঠ আইএএস অফিসার শিবশঙ্কর। সোনা পাচারে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের নাম জড়ানোর পরই তাঁকে অবস্য বদলি করে দেওয়া হয়েছে। 
 

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos

Recommended Photos