পরপর দুবছর
করোনাভাইাসের মহামারির কারণে গত বছরও উৎসব বিমুখ থাকতে হয়েছে দেশের মানুষ অধিকাংশ মানুষকে। খুবই সচেতনভাবে উৎসবের দিনগুলি কাতায়ে হয়েছিল। এবারও সচেতন থাকতে হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মন্তব্য
স্বাস্থ্য মন্ত্রক বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশ। এই অবস্থায় তৃতীয় তরঙ্গে আসন্ন। সামনেই ইদ, দীপাবলি আর গণেশ চতুর্থীর মত উৎসব রয়েছে। এই উৎসবগুলিতে যাতে ভিড় না বাড়ে সেদিকেও নজর দিতে হবে।
ভিড় এড়িয়ে চলতে পরামর্শ
স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছেন গতবছরের মত এবছরও রীতিমত সচেতন হয়ে উৎসব পালন করতে হবে। সীমাবদ্ধ উৎসব পালনের কথাও বলেছে। ভিড় এড়িয়ে সকলকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন নীতি আয়োগেয়র সদস্য ডক্টর ভিকে পল।
মাস্ক আবস্যক
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাংবাদিক সম্মেলনে ভিকে পল জানিয়েছেন এবারও সতর্ক হয়েই উৎসব পালন করতে হবে। পাব্লিক প্লেসে মাস্ক পরতে হবে অবস্যই। একই সঙ্গে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপরেও জোর দিয়েছেন তিনি।
দ্বিতীয় তরঙ্গে রয়েছে দেশ
ইন্ডিয়ার কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের প্রধান বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন এখনও দেশ দ্বিতীয় তরঙ্গে রয়েছে। তাই সকলকেই কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে। কোভিড উপযুক্ত আচরণ বজায় রাখার ওপরেও জোর দিয়েছেন তিনি।
সংকটজনক কেরল
বর্তমানে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য কেরল। এই রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার এখন সবথেকে বেশি। কিন্তু তারই মধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুল। সদ্যই ওনাম উৎসব গেছে। আগামী দিনে আরও উৎসব রয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
কেরলে আক্রান্ত
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী কেরলে বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হেয়েছ ৪৭ হাজারও বেশি মানুষ। দেশের মোট সংক্রমণের ৭০ শতাংশই এই রাজ্য। মৃত্যুর হার এক তৃতীয়াংশ।
সংক্রমণ বাড়ছে
কেরলের সীমান্তবর্তী তামিলনাড়ু আর কর্নাটকেও সংক্রমণ বাড়ছে। কেরল থেকে সংক্রমণ যাতে কর্ণাটকে না ছড়ায় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্য়মন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য।
স্বাস্থ্য মন্ত্রীর পরামর্শ
কেরলের প্রতিবেশী রাজ্যগুলিকে কেরলের কাছের জেলাগুলিতে টিকাকর্মসূচির ওপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশে এপর্যন্ত ৬৬.২ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনীয় ১৬ শতাংশ নাগরিকরেই দুটি টিকা দেওয়া হয়েছে।
টিকাই ভরসা
করোনার বিরুদ্ধে লড়াই টিকাই শেষ হাতিয়ার। ভারতেও জানুয়ারি মাস থেকে টিকাকরণের ওপর জোর দিচ্ছে। সম্প্রতি টিকা সরবরাহ বাড়ান হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে। তবে এক দল বিশেষজ্ঞ মনে করছেন কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে।