রাতভর প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে দেশের বাণিজ্য রাজধানী, দুর্যোগ থেকে এখনি রেহাই মেলার নেই সম্ভাবনা
ফের ভাসছে মায়ানগরী। মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে রীতিমত বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে মুম্বইতে। একই অবস্থা সিওন এবং গোরেগাঁও এলাকাতেও। এই পরিস্থিতি আগামী আরও ২৪ ঘণ্টা চলবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন।
রাতভর ভারী বৃষ্টির জেরে ভাসল মুম্বাই। শহরের বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু ও কোমর সমান জল দাঁড়িয়েছে।
গ্র্যান্ট রোড থেকে চার্নি রোড, লোয়ার পরেল থেকে প্রভাদেবী, দাদর, মাটুঙ্গা, মাহিমের মতো এলাকাও জলের তলায়। জলের মধ্যে দিয়েই হেঁটে সকাল সকাল কর্মস্থলে পৌঁছেছেন যাত্রীরা।
জল জমে যাওয়ার কারণে সেন্ট্রাল ও হার্বার লাইনে বন্ধ করা হয়েছে ট্রেন চলাচল। দূরপাল্লার বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সময় পরিবর্তন করা হয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেনেরও।
বাস পরিষেবাও পুরোপুরি থমকে গিয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগও নেই অনেক জায়গায়।
যদিও নীচু এলাকাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতির সতর্কবার্তা আগেই দিয়েছিল মৌসম ভবন। আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমের শহরতলিগুলিতে ১৫০ মিলিমিটার থেকে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
মৌসম ভবনের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল কেএস হোসালিকর ট্যুইট করে জানিয়েছেন, কোলাবা, সান্তাক্রুজ, এলাকায় রাতভর বৃষ্টি চলবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে পশ্চিম মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজে।
স্যাটেলাইট ছবি বলছে, মুম্বাই, থানে, পালঘর, রাইগড়ের উপরেও তীব্র মেঘ জমে রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টি চলতে পারে এলাকাগুলিতে।
নিচু এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।
পরিস্থিতির উপর নজর রেখে সমস্ত অফিসে ছুটি ঘোষণা করেছে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন।
মিঠি নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। নদীর ধারে বসবাসকারী ক্রান্তিনগরের বাসিন্দাদের ইতিমধ্যেই অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসের জেরে ব্যাপকভাবে বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্র। এরই মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির কারণে উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসনের।
উদ্বেগজনক বিল্ডিংগুলি নিয়েও সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই মুম্বাইয়ের ভিওয়ান্ডিতে ৩ তলা বিল্ডিং ভেঙে পড়েছিল। বুধবার এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৩০ পেরোয়।