১৯৮৪ সালের ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা (Bhopal Gas Tragedy)। এখনও ভারতের কাছে এক অভিশপ্ত দিন। ৩৭ বছর পরেও সেই ভয়ঙ্কর দিনটি পালন করা হয় জাতীয় দুষণ প্রতিরোধ দিবস (National Pollution Prevention Day 2021) হিসেবে। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের ২ তারিখে দুর্ঘটনায় মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনটি পালন করা হয়। ২-৩ ডিসেম্বর রাতে ইউনিয়ন কার্বাইড ইন্ডিয়া লিমিটেডের কীটনাশন প্ল্যান্ট থেকে মিথাইল আইসোসায়ানেট গ্যাস লিক করেছিল। যার ভারতের ভয়ঙ্কর শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে আজও চিহ্নিত হয়ে রয়েছে।
২-৩ ডিসেম্বর রাতে ইউনিয়ন কার্বাইড ইন্ডিয়া লিমিটেডের কীটনাশন প্ল্যান্ট থেকে মিথাইল আইসোসায়ানেট গ্যাস লিক করেছিল। যার ভারতের ভয়ঙ্কর শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে আজও চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ায় কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এটি এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সবথেকে ভয়াবহ গ্যাস দুর্ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে।
210
ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার পর কেটে গেছে ৩৭ বছর। কিন্তু এখনও দুর্ঘটনার অভিশাপ বহন করে চলছে এলাকার বাসিন্দারা। দুর্ঘটনার প্রভাবে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছিল। বিকলাঙ্গ সন্তানের জন্মের হারও বেড়ে গিয়েছিল। বহু পরিবার নিঃস্ব হয়েগিয়েছিল।
310
ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা দেখিয়েছে পরিবেশ দূষণ আর বিষাক্ত গ্যাসের উপস্থিতি কতটা বিপজ্জনক হতে পারে। তাই এই দিনটি শুধুমাত্র নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। এই দিনটি শিল্প ব্যবস্থা ও নিয়ন্ত্রণ শিল্প প্রক্রিয়া নিয়ে মানুষের অবহেলার দিকটিও তুলে ধরে। যা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানও এই বিশেষ দিনটির উদ্দেশ্য।
410
মানুষ ও শিল্পকে দুষণ নিয়ন্ত্রণ আইনের গুরুত্ব বোঝাতেই এই দিনটি পালন করা হয়। বায়ু, মাটি, শব্দ, জল ও দুষণের মত প্রাকৃতিক সম্পদের প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনা ছড়িয়ে দেওয়াও এই বিশেষ দিনটির উদ্দেশ্য।
510
ভারতীয় ন্যাশানাল হেলথ পোর্টালের মতে বায়ু দুষণের কারণএ গোটা বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৭ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ মারা যায়। ক্রমণই ভারতসহ গোটা বিশ্বেই বাড়ছে বায়ু দুষণ। অবস্থা এতটাই খারাপ যে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই বিশুদ্ধ বায়ু থেকে বঞ্চিত। শিশু ও বয়স্কো ব্যক্তিদের সমস্যা বাড়ছে।
610
বাতাসে উপস্থিত দুষিত পদার্থ ফুসফুস হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। শুধু তাই নয় বায়ু দুষণে ওজন স্তরের ক্ষতির পাশাপাশি জয়বায়ু পরিবর্তনের জন্যও দায়ী। ইতিমধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল ভোগ করছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ। যার মধ্যে ভারতেও প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
710
মানব জাতির বেঁচে থাকার জন্য দুষণ নিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দুষণ থেকেই একগুচ্ছ রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিকূল হচ্ছে আবহাওয়া। জলবায়ুর পরিবর্তে বিপদের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। বিশেষজ্ঞদের কথায় এখন থেকে সচেতন না হয়ে বড় সমস্যায় পড়তে হবে আধুনিক সভ্যতাকে।
810
জনবহুল এলাকায় বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ করতে হবে। ধোঁয়া বন্ধ করার উপায় খুঁজতে হবে। কলকারখানা থেকে ফসল পোড়ানো- এই পরিস্থিতিতে যে কোনও ধোঁয়া ক্ষতিকারক। পাশাপাশি গ্রিন হাউস গ্যাসও একটি বড় সংটক তৈরি করছে।
910
শহর এলাকায় দুষণের মাত্রা গ্রামের তুলনায় বেশি। শহরে গাছপালার সংখ্যা অনেকটাই কম। তাই ছাদে বা বাড়ির বারান্দায় বাগান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ঘরেতেও গাছ লাগানো যেতে পারে। যদিও বর্তমানে বেশ কয়েকটি গ্রামে দুষণের কুপ্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ক্ষতি হচ্ছে চাষের।
1010
বিদ্যুৎ জল ও অন্যান্য প্রাকৃত সম্পদের অপচয় বন্ধ করা দুষণ নিয়ন্ত্রণে একটি জরুরি পদক্ষেপ। কারণ অধিকাংশ দেশই বর্তমানে তাপ বিদ্যুৎ বা জলবিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমছে। আগামী দিনে যা বাড়িয়ে দেবে দুষণের মাত্রা। তাই এখন থেকে সাবধানাতা অবলম্বন করা জরুরি। পাশাপাশি নদী. পুকুর জলাশয় রক্ষা করাও অত্যান্ত জরুরি।