ভূমিপুজোর জন্য সরযূ নদীর উপর ‘রাম কি পৈড়ী’ ঘাটটির চেহারাও রাতারাতি বদলে গিয়েছে।
513
নানা রঙের রঙ্গোলি এঁকে ঘাটটিকে সাজিয়েছেন ফৈজাবাদের রাম মনোহর লোহিয়া অবধ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা।
613
বুধবার এই ঘাটেই লক্ষধিক মাটির প্রদীপ জ্বালানো হবে।
713
বারাণসীতে যেমন গঙ্গা আরতি হয়, ঠিক সে ভাবে বুধবার সরযূর এই ঘাটেও আরতি হওয়ার কথা। মন্দিরের স্থাপনের সূচনা যাতে শুভ হয়, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার ভূমি পুজোর আয়োজন আচার শুরু হয়েছে সোমবার থেকেই। সোমবার গৌরি গণেশ পুজো দিয়ে শুরু হয়েছে আচারানুষ্ঠান। আগেই পুজোর সূচি জানানো হয়েছিল। সেইমত মঙ্গলবার সকালেই শুরু হয় রামার্চা পুজো। বারাণসী ও অযোধ্যার ১১ জন পুরোহিত মিলে এই পুজো শুরু করেন সকালে। রামার্চা পুজোয় ২টি বিষয় মূল। এক রাম কথা এবং দুই রাম ধুন।
1013
রাম মন্দির চত্বরে যখন রামার্চা পুজো চলছে, তখন অযোধ্যার হনুমান গড়ি মন্দিরে শুরু হয় পতাকা পুজো। হনুমানজির পুজো হিসাবে এই পতাকা পুজো আয়োজিত হয়। মঙ্গলবার অযোধ্যা জুড়ে ছিল এক উৎসবের আবহ।
1113
বিভিন্ন মন্দিরে পুজো চলেছে। আরতি হয়েছে। রাস্তায় বহু মানুষকে রামনাম করতে দেখা গেছে। কেউ হনুমান সেজে রাস্তায় নেচেছেন। কেউ তালে তাল দিয়ে নাচ উপভোগ করেছেন। রামের নামে জয়ধ্বনি করেছেন। গোটা অযোধ্যাটাই হলুদ রঙে সেজে উঠেছে। হলুদ বা গেরুয়া রং হিন্দু ধর্মীয় আচারে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তাই অধিকাংশ অযোধ্যার বাড়িই হলুদে সেজে উঠেছে।
1213
অযোধ্যায় নিরাপত্তা বন্দোবস্তও কঠোর করা হয়েছে। সেইসঙ্গে করোনা আতঙ্ক তো রয়েছেই। তবে মানুষের উচ্ছ্বাস, উৎসাহে ভাটা পড়েনি।
1313
করোনা নিয়ে সতর্কতার মধ্যেও ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানে ১৭৫ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৫ জনই সাধু-সন্ত।