আপাতত ইএমআই থেকে স্বস্তি দেশবাসীর, দেখে নিন করোনা যুদ্ধে আর কী কী পদক্ষেপ করল আরবিআই
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশে চলছে ২১ দিনের লকডাউন। কাজ হারিয়েছেন দেশের গরিব মানুষ। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে ১.৭০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ বৃহস্পতিবারই ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। আর লকডাউনের তৃতীয় দিন করোনাভাইরাসের জেরে মুখ থুবড়ে পড়া দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করতে একাধিক পদক্ষেপ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
Asianet News Bangla | Published : Mar 27, 2020 8:32 AM IST / Updated: Mar 27 2020, 02:08 PM IST
করোনা ভাইরাসে লকডাউনে সবচেয়ে সংকটে পড়েছেন দেশের গরিবমানুষ ও দিন মজুররা। রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের অন্নের সংস্থানে এগিয়ে এসেছে সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন ফিনান্সিয়াল রেসপন্স টিম বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
করোনা ভাইরাসের জেরে মুখ থুবড়ে পড়া দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করতে এবার বড় ঘোষণা করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। করোনা ভাইরাসের আক্রমণে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শুক্রবার সকালে বিশেষ বৈঠকে বসে মুদ্রা নীতি কমিটি।
বৈঠকে রেপো রেট ও রিজার্ভ রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মানিটরি পলিসি কমিটি গত ২৪ মার্চ থেকে এই বিষয়ে পর্যালোচনা করছিল। কমিটির সদস্যরা এদিন রেপোরেট কমানোর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে ভোটাভুটি করেন এবং ৪:২ অনুপাতে ভোটাভুটি হয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন।
রেপো রেট ৭৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৪.৪ শতাংশ করার ঘোষণা করলেন আরবিআই-এর গভর্ণর শক্তিকান্ত দাস। এর আগে রেপো রেটের অঙ্কটা ছিল ৫.১৫ শতাংশ।
এই সিদ্ধান্তের ফলে রিপো রেট গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন এসে গেল। ২০০৯ সালের এপ্রিল রেপো রেট হয়েছিল ৪.৭৪ শতাংশ।
রিভার্স রেপো রেটও ৯০ শতাংশ কমান হয়েছে। , ৪.৯০ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৪ শতাংশ।
এক বছরের জন্য সব ব্যাঙ্কের সিআরআর বা ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও ১ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে আরবিআই, অর্থাৎ ১০০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে।
সিআরআরের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক তার মূলধনের কিছু অংশ আরবিআইসের কাছে রাখে। সিআরআর কমানোর অর্থ, এর ফলে ব্যাঙ্কগুলির হাতে ১.৩৭ লাখ কোটি টাকা বেশি থাকবে।
করোনা মন্দায় ব্যাঙ্কিং সেক্টরকে চাঙ্গা করতে ৩.৭৪ লক্ষ কোটি টাকা দেবে আরবিআই।
করোনা সংক্রমণের জেরে আগামী ৩ মাসের যাবতীয় ইএমআই স্থগিত করে দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ব্যাঙ্কগুলিকে এ ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছে তারা।
২০০৮-০৯ সালে গোটা বিশ্বে এইরকমই আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছিল। এরপর করোনা ভাইরাসে আক্রমণে আরও একবার থমকে গেছে ভারত তথা বিশ্বের অর্থনীতি।ssion
মনে করা হচ্ছে করোনা ভাইরাসের ফলে যে আর্থিক ধাক্কা লেগেছে ভারতে তাতে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি আরও কমতে চলেছে।
যদিও আরবিআই গভর্ণর আশ্বাস দেন, শেয়ার বাজারে ধীরে ধীরে স্থিতাবস্থা ফিরে আসছে, ডলারের তুলনায় ভারতীয় টাকার বিনিময় মূল্যও ধীরে ধীরে কমছে।
দেশের মূল্যবৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই দাবি করেন শক্তিকান্ত দাস। ফলে দেশবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই, বলে জানিয়েছেন আরবিআই গভর্ণর।