করোনায় সংক্রমণে হতাশার ছবি বিশ্বজুড়ে, চিন থেকে আমেরিকা ছন্দপতন জীবনের
আন্তর্জাতিক মহামারি করোনার সংক্রমণ। এখনও গোটা বিশ্বে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ২২০,৮৪৩। মৃত্যু হয়েছে ৮,৯৮৮। চিন থেকেই গোটা বিশ্ব ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ঙ্কর এই ভাইরাস। এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকাসহ সবকটি দেশেই প্রবল আকার ধারণ করেছে করোনার জীবনু। করোনা মোকাবিলায় একেকটি দেশ একেকভাবে পদক্ষেপ করেছে। তবে সবকটি দেশই রীতিমত সচেতনা অবলম্বন করেছে। ইউরোপের অধিকাংশ দেশই শাটডাউনের পথে। যার প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে।
স্তব্ধ স্পেনের জনজীবন। হাসপাতাল আর ওষুধের দোকান ছাড়া কোথাও যাওয়া যাবে না। নিষেধাজ্ঞা প্রশাসনের।
চিন স্তব্ধ চিনের জনজীবন। বন্ধ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সংক্রমণের কেন্দ্র হুহেই প্রদেশে ২০হাজার চিকিৎসক।
ইরানে বিদেশ যাত্রায় ফতোয়া জারি করা হয়েছে। চিনের পর এই দেশেই সবথেকে ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে করোনা। বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ধর্মস্থানে জমায়েতে বন্ধ করতে আর্জি জানান হয়েছে।
গোটা ইতালি লকডাইন। রাস্তাঘাট ফাঁকা। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে কেউই বার হচ্ছে না। খোলা রয়েছে শুধু ওষুধ আর খাবারের দোকান।
আপাতত নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে ফ্রান্সে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বার হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
স্তব্ধ কানাডার জীবন। বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নাগরিকদের। খাবার ওষুধ বাড়িতেই পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আমেরিকায় সামাজিক দূরত্ব বজার রাখতে নির্দেশ ট্রাম্পের। লকডাউনের পথেই হাঁটছে মার্কিন মুলুক।
ইংল্যান্ডে রেস্তোরাঁ, পাব বন্ধ করে রাখতে জারি করা হয়েছে সরকারি নির্দেশিকা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বয়স্কদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ায় এখনও পর্যন্ত তেমন প্রভাব পড়েনি। করোনায়।তবে সরকারি তরফে সচেতন হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নাগরিকদের। বিদেশ থেকে ফিরলেই ১৫ দিনের জন্য গৃহবন্দি থাকতে নির্দেশ।
জার্মানিতে সব স্কুল কলেজ নাইট ক্লাব বন্ধ। অস্ট্রিয়া, সুইৎজারল্যান্ড, ফ্রান্স সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জমায়েতের ওপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।