চিনে নিন বাস চালকের স্কুল ছুট কন্যাকে, যাঁর হাত ধরে বিশ্বে আবিষ্কার হয়েছিল করোনাভাইরাসের
পৃথিবীজুড়ে এখন ক্রাস সৃষ্টি করেছে করোনাভাইরাস। বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লক্ষের বেশি। প্রাণ গিয়েছে ১ লক্ষ ২৬ হাজারেরও বেশি মানুষের। তবে এই করোনাভাইরাসের ইতিহাস কিন্তু বেশ পুরনো। ষাটের দশকে প্রথম এই ভাইরাসটিকে আবিষ্কার করেছিলেন ৮ বিজ্ঞানী। যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন স্কটল্যান্ডের এক বাস চালকের কন্যা জুন আলমিডা। যিনি আবার মাত্র ১৬ বছর বয়সেই স্কুল ছেড়ে দেন।
Asianet News Bangla | Published : Apr 15, 2020 11:04 AM IST / Updated: Apr 15 2020, 04:40 PM IST
বিশ্বের ভাইরাসবিদদের মধ্যে অন্যতম জুন আলমিডা। কোভিড ১৯ নতুন হলেও করোনাভাইরাসে কে প্রথম চিহ্নিত করেছিলেন যে ৮ গবেষক তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আলমিডা। ১৯৬৪ সালে লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাকালে ল্যাবরেটরিতে তিনি প্রথম এই ভাইরাসটিকে চিহ্নিত করেন।
বিখ্যাত এই ভাইরাসবিদের জন্ম ১৯৩০ সালে। গ্লাসগো শহরে তাঁর বেড়ে ওঠা। অল্প বয়সে স্কুল ছাড়তে হলেও পরবর্তীতে ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান হিসাবে কাজ করতে গিয়ে ভাইরাস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।
পরর্তী সময়ে তিনি লন্ডনে যান। এবং ১৯৫৪ সালে বিয়ে করেন ভেনেজুয়েলার শিল্পী এনরিক আলমিডাকে।
পরবর্তী সময়ে তিনি কানাডার টরেস্টোতে যান এবং এখানাকার অন্টারিও ক্যানসার ইনস্টিটিউটে ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ ব্যবহারে করে ভাইরা নিয়ে বহু গবেষণা করেন।
পরবর্তী সময়ে তিনি লন্ডনের সেন্ট থমাস হসপিটাল মেডিক্যাল স্কুলে ফের গবেষণা করতে ফিরে আসেন। বর্তমানে এই হাসপাতালেই করোনা আক্রান্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে।
ডেভিড টাইরেলের সঙ্গে লন্ডনে ভাইরাস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন আলমিডা। প্রথম হিউমেন করোনাভাইরাস তিনিই আবিষ্কার করেন।
২০০৭ সালে ৭৭ বছর বছর বয়সে জুন আলমিডার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ১৩ বছর পর তাঁর আবিষ্কার করা ভাইরাস নিয়ে চর্চা চলছে গোটা দুনিয়ায়।
আট ভাইরাসবিদ – আলমিডা, বেরি, কানিংহাম, হামর, হফস্টাড, মানুচ্চি, ম্যাকিন্টশ আর টাইরেল – লক্ষ্য করলেন ভাইরাসটা দেখতে অনেকটা সূর্যের মতো। রোঁয়াগুলো যেন সূর্যের শিখা।
সূর্যের এই শিখাগুলোকে বলে করোনা বা মুকুট। শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ করোনা থেকে, যার অর্থ ফুলের মুকুট। ১৫৪৮ থেকে শব্দটি ইংরেজি ভাষায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ইংরেজিতে রাজার মুকুটকে করোনা বলা হয়।
ক্রমে করোনাভাইরাস পরিবারের চারটি শ্রেনী খুঁজে পাওয়া যায়। তাদের নাম দেয়া হয় আলফা করোনাভাইরাস, বেটা করোনাভাইরাস, গামা করোনাভাইরাস ও ডেল্টা করোনাভাইরাস। এর প্রত্যেকটিতেই অন্তর্ভূক্ত আছে বিভিন্ন প্রজাতি।
সার্স-কোভ ২ ওরফে কোভিড ১৯ বা নভেল করোনাভাইরাস একটি বেটা করোনাভাইরাস শ্রেনীভূক্ত প্রজাতি। বেশিরভাগ করোনাভাইরাস মানুষের কোনো ক্ষতি করেনা। কয়েকটি করোনাভাইরাস কিছু জ্বর জ্বর ভাব তৈরি করতে পারে।
রকম করোনা ভাইরাস মানুষের জন্য মারাত্মক হতে পারে – এইচকোভ-এনএল৬৩, সার্স-কোভ, মার্স-কোভ আর সর্বশেষ কোভিড ১৯।