ভিনগ্রহীদের অস্তিত্বের মিলল আরও প্রমাণ, শুক্র গ্রহে প্রাণ ধারণের উপযোগী পরিবেশের খোঁজ

সত্যিই কি রয়েছে এলিয়েনদের অস্তিত্ব, এর উত্তর পেতে যুগ যুগ ধরে ভিনগ্রহদীরে খোঁজার চেষ্টা করছে মানুষ। বৈজ্ঞানিকদের সাম্প্রতিক গবেষণা অবশ্য সেই রহস্যের সন্ধানে চমকপ্রদ এক তথ্যের সন্ধান দিল। মহাবিশ্বে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজতে বারবার মঙ্গলগ্রহে মানুষ অভিযান চালালেও এলিয়েনদের হয়তো খোঁজ মিলতে চলেছে আমাদের সব থেকে কাছের গ্রহ শুক্রে।

Asianet News Bangla | Published : Sep 15, 2020 10:40 AM IST / Updated: Sep 15 2020, 04:11 PM IST

111
ভিনগ্রহীদের অস্তিত্বের মিলল আরও প্রমাণ, শুক্র গ্রহে প্রাণ ধারণের উপযোগী পরিবেশের খোঁজ

বিজ্ঞানীরা  জানিয়েছেন,  শুক্র গ্রহে তারা অতি অম্লীয় মেঘের সন্ধান পেয়েছেন। এই মেঘটিতে আছে ফসফাইন নামে একটি গ্যাস। যা দেখে বিজ্ঞানীদের ধারনা শুক্রে অনুজীব বর্তমান। যা জীবনের সম্ভাবনাকে কয়েকগুন বাড়িয়ে দিল।

211

সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে এমন কোনো প্রামাণ্য তথ্য এখনও মেলেনি, কিন্তু পৃথিবীতে ফসফিন গ্যাস উৎপাদনে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকার কথা মাথায় রেখে তারা ভাবছেন, তাহলে শুক্র গ্রহেও তেমন কোনো অনুজীব থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
 

311

আন্তর্জাতিক ওই গবেষক দলটি  প্রথমে হাওয়াই দ্বীপের  জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল টেলিস্কোপে শুক্র গ্রহের মেঘপুঞ্জে ফসফিন গ্যাস দেখতে পান। এরপর চিলির আতাকামা মুরুভূমি থেকে এএলএমএ রেডিও টেলিস্কোপ দিয়ে তার অস্তিত্ব সম্পর্কে  নিশ্চিত হন তাঁরা।
 

411

ফসফিন হল ফসফরাস ও হাইড্রোজেন মিলে গঠিত একটি রাসায়নিক যৌগ। পৃথিবীতে কিছু ব্যাকটেরিয়া প্রাকৃতিকভাবে ফসফরাসের সঙ্গে হাইড্রোজেনের মিলন ঘটিয়ে এই গ্যাস তৈরি করে।

511

তবে পৃথিবীতে রসায়নাগারে কিংবা কারখানায় না হয় ফসফিন গ্যাস তৈরি করা যায়, কিন্তু শুক্রে তো কোনো কারখানা নেই। তাহলে শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠের ৫০ কিলোমিটার উপরে মেঘরাশির মধ্যে এই ফসফিন কেমন করে এল, সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের।
 

611

শুক্র গ্রহ পৃথিবীর চেয়ে সূর্যের অনেক কাছে বলে এর তাপমাত্রা অনেক বেশি। এর পৃষ্ঠে ৪৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো তাপমাত্রায় কোনো জীবের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা দেখেন না বিজ্ঞানীরা।
 

711

তবে শুক্রের পৃষ্ঠ ছাড়িয়ে অনেক উপরে যেখানে কিনা তাপমাত্রা পৃথিবীর মতোই ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখানে ফসফিন গ্যাসের এই আবরণের পেছনে কোনো অনুজীবের অবদান উড়িয়ে দিতে পারছেন না তারা।   

811

শুক্রের মেঘে ফসফিন গ্যাস কোনো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত কিংবা অন্য কোনো ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে সৃষ্টি হয়েছে কিনা,  সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে তার পক্ষেও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা। তাই কোনো জীবকে এর কারণ ধরেই এখন গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

911

যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেন গ্রাভস এবং তার সহকর্মীরা এই নিয়েই এখন গবেষণা চালাচ্ছেন। নেচার অ্যাস্ট্রোনমি পত্রিকায় শুক্রের ফসফিন সম্পর্কে তারা একটি রিসার্চ প্রকাশ করেছেন। সেখানে গবেষকরা দেখানোর চেষ্টা করেছেন যে, এই গ্যাসটি হয়তো জীবন বা প্রাণ তৈরির একটি প্রাকৃতিক, অজৈব উৎস হতে পারে।
 

1011

এটাও ঠিক ২০০ কোটি বছর আগের শুক্র গ্রহের সঙ্গে এখনকার শুক্রকে মেলানো যাবে না। এখনকার শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৪৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাই অতীতে এই শুক্র গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল বলে ধারণা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা।

1111

নাসার গবেষকদের মতে, ২০০ কোটি বছর আগে গ্রহটিতে তরলের সমুদ্র ছিল। সেই সঙ্গে পৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রাণ ধারণের উপযোগী ছিল। কয়েক বছর আগে নাসার গোডার্ড ইনস্টিটিউট ফর স্পেস স্টাডিজের গবেষকেরা কম্পিউটার মডেল তৈরি করে গ্রহটির অতীত আবহাওয়ামণ্ডলের চিত্র তৈরি করেন। সেই  গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার’ পত্রিকায়।

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos