COVID 19: শুধু কলকাতাতেই মৃত্যু ছাড়াল ৫ হাজার, আশঙ্কা বাড়িয়ে সংক্রমণেও শীর্ষে মহানগর

  কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের দাপট আগের থেকে কমলেও ফের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ওঠা -নামা করছে  রাজ্যে।  তবে এবার বাংলায় মৃত্যুর সংখ্যা গত ২৪ ঘন্টায় কমেছে। কোভিডে এখনও মৃত্য়ু হচ্ছে বাংলার ৩ জেলায়। 

মৃত্যুর লিস্টে সেই ৩ জেলার লিস্টে শীর্ষে রয়েছে  কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণা । যদিও মৃত্য়ু শূন্য এখনও হতে পারেনি  নদিয়া।

 
তবে এবার   মৃত্যু শূণ্য হয়েছে মুর্শিদাবাদ   হুগলি, কালিংপং, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, দুই মেদিনীপুর ,নদিয়া, দুই বর্ধমান, উত্তর দিনাজপুর জেলা।  শহরে ভ্য়াকসিনের সংখ্য়া যত বাড়বে, ততোই আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমবে বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

 
শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৭ জন। কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণা জেলায় ৩ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। নদিয়া জেলায়  ১ প্রাণ হারিয়েছেন। 

শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী,  কলকাতায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা  ১০৯ জন। এবং এখানে মোট  সংক্রমণের সংখ্যা ৩১২,৬০৮ জন এবং  মোট মৃতের সংখ্যা ৫০০২ জন। 
 

 এবারও  রাজ্যের সব জেলার থেকে এবারেও সংক্রমণ নিয়ে শীর্ষে  কলকাতা , দ্বিতীয় উত্তর ২৪ পরগণা।  তবে উত্তর ২৪ পরগণায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা  এখনও ১০০ নীচে রয়েছে।

শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগণা একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগণায়  একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা  ৪৮ জন।  দার্জিলিং একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ জন। 

শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী,   একদিনে বাংলায় করোনা আক্রান্ত ৬৬১ জন । যা আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে।  পশ্চিমবঙ্গে এই অবধি মোট অ্য়াক্টিভ আক্রান্তের সংখ্য়া  ৯,১০৯ জন।
 

তবে এই মুহূর্তে কোভিড জয়ীর সংখ্যা বেড়েছে। নিঃশ্বাস নিচ্ছে হাসপাতাল গুলি।  স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৮৮ জন।  বাংলায় কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫, ১৯, ৩৭২জন। 

 স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারী সুস্থতার হার পেরিয়ে ৯৭ শতাংশ হয়েছিল। তারপর  দ্বিতীয় তরঙ্গে  ফের পতন হয়। মার্চের পর থেকে। তবে এরপর অভিশপ্ত প্রায় ৭ মাস পেরিয়ে গিয়েছে।  স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে  সুস্থতার হার একদিনে এখনও ৯৮.২২ শতাংশ।