ট্যাংরায় ঘরের বাইরে মৃতদেহ, বাবাকে খুন করে শান্তির ঘুম দিল ছেলে

রাজ্যে ছেলের হাতে বাবা খুন, এই প্রথমবার নয়। তবে বাবাকে খুন করে ছেলের  আচরণবিধিতে শিউরে উঠতে হয়।  বছর ষাটের বৃদ্ধ বাবাকে নেশার ঘোরে খুন করে ছেলে। তারপর ঘরে টানা লম্বা ঘুম দেয় ছেলে। না কোনও মানসিক ভারসাম্য়হীনের ঘটনা নয়, তবে নিঃসন্দেহে নারকীয় ঘটনা।মা জানিয়েছেন, রবিবার রাতেও রোজের মত বাবা-ছেলের মধ্যে অশান্তি শুরু হলে, ভয়ে প্রতিবেশীর ঘরে চলে যান তিনি। ছেলের ভয়ে রাতে প্রতিবেশীর ঘরেই ঘুমান তিনি। সোমবার সকালে প্রতিবেশীরা দেখেন বাবা বাবু দাস বারান্দায় চিৎ হয়ে পড়ে আছেন। তাঁর নাকের কাছে রক্ত জমাট বেঁধে আছে। আর ঘরে বেঘোরে ঘুমোচ্ছে ছেলে রাজা দাস।  

Ritam Talukder | Published : Sep 7, 2020 10:10 AM IST / Updated: Sep 07 2020, 03:42 PM IST

16
ট্যাংরায়  ঘরের বাইরে মৃতদেহ, বাবাকে খুন করে শান্তির ঘুম দিল ছেলে


রাজ্যে ছেলের হাতে বাবা খুন, এই প্রথমবার নয়। তবে বাবাকে খুন করে ছেলের  আচরণবিধিতে শিউরে উঠতে হয়।  বছর ষাটের বৃদ্ধ বাবাকে নেশার ঘোরে খুন করে ছেলে। তারপর ঘরে টানা লম্বা ঘুম দেয় ছেলে। না কোনও মানসিক ভারসাম্য়হীনের ঘটনা নয়, তবে নিঃসন্দেহে নারকীয় ঘটনা।

26


জানা গিয়েছে, ট্যাংরার বাসিন্দা রাজা দাস যথেষ্ট শিক্ষিত। কমার্স নিয়ে স্নাতকোত্তর করে  আগে চাকরি করত। কিন্ত বেশ কিছুদিন হল বেকার বসে আছে সে। অন্যদিকে বাবা, বাবু দাস আগে লেদার কমপ্লেক্সে কাজ করতেন। ইদানিং অবশ্য প্রেসার কুকার সারানোর কাজ করতেন তিনি। 

36

সম্প্রতি টাকাপয়সা নিয়ে ছেলের সঙ্গে বাড়িতে নিত্য অশান্তি হত বাবার। লকডাউনে সেই অশান্তির পরিমাণ আরও বাড়ে। রোজই প্রায় ছেলে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরত। আর তাই নিয়ে সাংসারিক অশান্তি ছিল নিত্য ঘটনা।

46


সোমবার সকালে প্রতিবেশীরা দেখেন বাবা বাবু দাস বারান্দায় চিৎ হয়ে পড়ে আছেন। তাঁর নাকের কাছে রক্ত জমাট বেঁধে আছে। আর ঘরে বেঘোরে ঘুমোচ্ছে ছেলে রাজা দাস। বাবু দাসকে ডেকেও কোনও সাড়া শব্দ না মেলায় সন্দেহ হয় পাড়া পড়শিদের। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

56

পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের পরই জানাতে পারা যাবে আসল ঘটনা।

66


উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুন মাসেও এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটে বাংলার বুকে। ফাদার্স ডে-র আগের দিন মত্ত অবস্থায় মদ খাওয়ার টাকা চাইতে গিয়ে ছেলের হাতে খুন হন বাবা। মৃতের নাম বিধান ঘোষ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মত্ত অবস্থায় প্রায়ই স্ত্রী ও ছেলেদের মারধর করতেন বিধানবাবু। সেদিনও তার ব্যাতিক্রম ছিল না। মত্ত অবস্থায় মদ খাওয়ার টাকা চেয়ে স্ত্রী চায়না ঘোষের ওপর অত্যাচার শুরু করেন তিনি। স্ত্রীর দিকে  বঁটি নিয়ে তেড়ে বাবাকে আটকায় ছেলে। ধস্তাধস্তিতে বিধান ঘোষের গলার নলি কেটে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। 

 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos