পদ্মপাল থেকে কমেডিয়ান, রাজ্যপালের উইকিপিডিয়া পেজ-এ লেখা হল যা খুশি তাই

জগদীপ ধনখড়ের উইকিপিডিয়া পেজ-এ তথ্য বিকৃত করে তাঁকে 'পদ্মপাল' বলে মন্তব্য করা হয়।

তথ্য বিকৃতি ঘটিয়ে রাজ্যপালকে 'কমেডিয়ান' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বলে দাবি করা হয়।

তাঁর বিখ্যাত উক্তি হিসেবে দেওয়া হয়েছে, 'আমি অপমানিত হয়েছি।'

ব্যঙ্গাত্মকভাবে লেখা হয়, কেন তাঁর অনুমতি না নিয়ে রাজ্যে শীত পড়েছে, তাতেও তিনি অপমানিত বোধ করেছেন বলে কটাক্ষ করা হয়।

জগদীপ ধনখড় নিজেকে লর্ড কার্জন-এর বংশধর হিসেবে তুলে ধরতেই পছন্দ করেন বলেও উল্লেখ করা হয় তাঁর উইকিপিডিয়া পেজে। বঙ্গভঙ্গের দিনটিকে নিজের জন্মদিনের থেকেও বেশি আনন্দের সঙ্গে তিনি পালন করেন বলেও দাবি করা হয় উইকিপিডিয়া পেজ-এ।

পেজ-এ রাজ্যপালের শিক্ষাগত যোগ্যতার অংশে লিখে দেওয়া হয় অশিক্ষা।

তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছেন বলেও উইকিপিডিয়া পেজ- এ উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে বলা হয়, মাঝেমধ্যেই তিনি দুঃখ পান এবং রেগে যান।

রাজ্যপালের উইকিপিডিয়া পেজ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৩ জানুয়ারি ভোর রাত ৩.০৫ মিনিটে শেষ বার এই পেজটি এডিট করা হয়েছে। সম্ভবত তখনই ওই পেজ- এ তথ্য বিকৃতি করা হয়ে থাকতে পারে।

এ দিন সকালেও এই সমস্ত বিকৃত তথ্য রাজ্যপালের উইকিপিডিয়া পেজ- এ দেখা গিয়েছে। পরে তা সংশোধন করে দেওয়া হয়। যদিও তার পরেও সেখানে ভুল থেকে যায়। ব্যক্তিগত পরিচিতির অংশে 'অপমানিত রাজ্যপাল' কথাটি থেকেই যায়।

রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের এবং শাসক দলের সংঘাত কমার কোনও লক্ষণই নেই। প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফর নিয়েও রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি।

রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের এবং শাসক দলের সংঘাত কমার কোনও লক্ষণই নেই। প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফর নিয়েও রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি।

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বার বারই এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজকর্ম করার অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসক দল।

যদিও নিজের অবস্থানে অনড় থেকে জগদীপ ধনখড় দাবি করেছেন, তিনি যা করছেন সংবিধান মেনেই করছেন।