রাত পোহালেই কল্পতরু, বছরের প্রথম দিন ভক্তদের ভিড় মন্দিরে মন্দিরে
রাত পোহালেই বর্ষবরণ। মধ্যরাত থেকে নতুন বছরের সেলিব্রেশন শুরু, আর দিনের শুরুটা খানিকটা অন্যস্বাদের। সকাল হতেই যাতে সারা বছর ভালো যায় তাই ঈশ্বরের শরনাপন্ন হওয়া। মন্দিরে মন্দিরে তাই সকাল থেকেই ভিড় জমান স্বাধারণ মানুষেরা। তবে ১ জানুয়ারি এই বিপুল পরিমাণ ভিড়ের পেছনে রয়েছে অন্য এক ইতিহাস, কল্পতরু।
debojyoti AN | Published : Dec 31, 2019 1:09 PM IST
১৮৮৬ সালে ১ জানুয়ারি রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব নিজেকে ঈশ্বরের অবতার বলে ঘোষমা করেছিলেন। ধ্যানমগ্ন হয়ে বলেছিলেন তোমাদের চৈতন্য হক। এই বিশেষ দিনে ঠাকুরকে দর্শন করতে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায় মূলত চার জায়গায়।
দক্ষিণনেশ্বরঃ প্রতি বছর ১ জানুয়ারি দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দির দর্শনে হাজার হাজার মানুষের ভিড় লক্ষ করা যায়। মাঝ রাত থেকেই পড়ে লাইন। দীর্ঘ লাইন পেরিয়ে পুজো দিতে সময় লাগে বেশ খানিকটা। এদিন মন্দির বন্ধ থাকে মাত্র এক ঘণ্টা। বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করা হয় এখানে।
বেলুড় মঠঃ রামকৃষ্ণদেবের পরম শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ এই মঠ তৈরি করেছিলেন। তবে থেকেই এখানে ভক্তিভরে আরাধনা করা হয় রামকৃষ্ণ দেবের। কল্পতরু উপলক্ষ্য এদিন দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমান বেলুর মঠে।
কাশীপুর উদ্যানবাটীঃ রামকৃষ্ণ মঠের একটি শাখা হল কাশীপুর উদ্যানবাটী। এখানে মহাসমারহে কল্পতরু উৎসব পালন করা হয়। এই মঠেই ১ জানুয়ারি শিষ্যদের আশির্বাদ করেছিলেন রামকৃষ্ণ দেব।
মায়ের বাড়িঃ মাঝে মধ্যেই মা সারদা উদ্বোধন-এ এসে থাকতেন। এখানেই মা দেহত্যাগ করেছিলেন। তারপর থেকেই এই মায়ের বাড়ি ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কল্পতরু উৎসব উপলক্ষে এখানেও ভক্তদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।