রাত তখন ১২ টা। বাইপাসের আনন্দপুরের কাছে ঘন কালো নিকশ অন্ধকার থেকে ভেসে আসছে নারী কন্ঠের 'বাঁচাও' আর্তনাদ। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ঠাহর হল- চলন্ত গাড়ি থেকে ভেসে আসা আওয়াজ। যিনি প্রথম আর্তনাদ শুনলেন, তিনি পরিবারের সঙ্গে বাড়ি ফিরছেন গাড়িতে। আওয়াজ শোনার পর আর দুবার ভাবেননি,নেমে পড়েছেন বাঁচাতে, ওই তরুণীকে। অভিযুক্ত গাড়িটা ততক্ষণে উদ্ধারকারীকে সামনে দেখতে পেয়ে, পায়ের উপর গাড়ি চালিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তবুও, পা ভেঙেও তিনি বাঁচালেন নির্যাতিতা তরুণীকে। আর নিঃশব্দে বলে গেলেন যেটা, এ শহরে মেয়েরা নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরাই নিতে পারে এবং দিতেও পারে। চলতি বছরে অগাস্টে ঘটনাটি ঘটেছে ই এম বাইপাসে। এরপরের ঘটনাটুকু এখনও সবার মনে তাজা। শ্লীলতাহানি রুখতে গিয়ে সেই রাতে নিজের চরম ক্ষতি সম্মুখীন হতে হয় শহরে সেই সাহসী মহিলা নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়কে। তবে সেদিনের সেই ঘটনায় তাঁকে সাপোর্ট করেছিলেন তাঁর স্বামী দীপ শতপথী।