স্বস্তি নেই। পুজোর মুখেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী সপ্তাহে নতুন করে নিম্নচাপ সৃষ্টির আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। এর জেরে মহালয়ার আগেই ভাসতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। কলকাতা সহ সব জেলাতেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
হাওয়া অফিস বলছে দেবীপক্ষ শুরুর আগে দুর্যোগের ঘনঘটা রাজ্য জুড়ে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের জেরে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। আগামী সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রবিবার পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। তার জেরে মঙ্গলবার নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে এ রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বুধবার থেকে বাড়তে পারে বৃষ্টি।
পুজোর আগে নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মণ্ডপের কাজ অন্য দিকে আবার ভাটা পড়ছে পুজোর বাজারেও। পুজোর আগে ছুটির দিনে এই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির জেরে নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এদিকে, রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৮২ শতাংশ। রবিবারও মাটি হতে পারে পুজোর বাজার। কারণ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর। সকাল থেকে হালকা রোদ উঠলেও, বৃষ্টির আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
শুধু কলকাতা নয় বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতেও। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া সূত্রে জানা গেছে, আজ একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিম বঙ্গোপাসাগর ও সংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে। আর এই ঘূর্ণাবর্ত আগামী ২০ তারিখ নিম্নচাপে পরিনত হতে পারে। আর তার জেরেই আগামী ২১ তারিখ থেকে দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর সেকারণে বর্তমানে যারা সমুদ্রে মাছ ধরতে গেছেন তাদের ২০ তারিখের আগে ফিরে আসার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এছাড়া ২১ তারিখ থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
এদিকে, ধসের কারণে আবারও বিপর্যস্ত দার্জিলিং-এর টয় ট্রেন পরিষেবা। বন্ধ হয়ে গেছে সমতল আর পাহাড়ের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। পুজোর মুখে যা নতুন করে আক্ষেপ বাড়িয়ে পর্যটকদের। শুক্রবার তিনধারিয়া আর রংটং-এর মধ্যবর্তী এলাকায় ধস নামে।
তারপর থেকেই থমকে গেছে টয় ট্রেনের চাকা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ধস সরানোর কাজ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কয়েক দিন সময়ে লেগে যাবে বলেও জানান হয়েছে হিমালয়ান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে পুজোর আগে যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায় তার চেষ্টা করে হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, শনিবার কয়েকঘণ্টার বৃষ্টিতে রাজ্যের একাধিক জায়গায় রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এবার পুজোয় ভিলেন হবে না তো বৃষ্টি? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন বঙ্গবাসীর।