পুজো নিয়ে বাঙালীর সেরা ৮ ঝগড়া, যা স্বামী-স্ত্রীর করা চাই
দুর্গাপুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব, সারাবছর ধরে মানুষ অপেক্ষা করে থাকে এই জন্য। পুজোর আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় নানা রকমের প্ল্যানিং। শপিং থেকে শুরু করে, খাওয়া-দাওয়াই হোক বা প্যান্ডেল হপিং সবকিছুর প্ল্যানিং হয়ে যায় আগে থেকেই। তবে পুজোর সময় প্রিয় মানুষটির সঙ্গে নানা কারণেই মনকষাকষি হয়ে থাকে। ঝগড়া, ঝামেলাগুলো খুব একটা গুরুগম্ভীর ব্যাপারে না হলেও এই বিষয়গুলো জমজমাট প্রেমের মাঝে কিছুটা স্বাদ বদল ঘটায়। রইল সেরকমই কিছু পুজোর কলহ যা প্রায় কম-বেশি সব দম্পতিদের মধ্যেই হয়ে থাকে। দেখুন তো আপনি নিজের সঙ্গে মেলাতে পারেন কিনা?
debojyoti AN | Published : Sep 19, 2019 10:20 AM IST / Updated: Sep 23 2019, 01:38 PM IST
শপিং নিয়ে চুলোচুলি-- পুজো আসার আগে থেকেই যা নিয়ে হামেশাই সব দম্পতিদের মধ্যে হয়ে থাকে তা হল পুজোর শপিং নিয়ে ঝামেলা। মেয়েদের শপিং মানেই বেশি সময় লাগবে, আর ঝামেলাটা বাধে সেখানেই। এছাড়া লিপস্টিক আর ব্লাউজ পছন্দ করতে করতেই শপিং-এর অর্ধেকটা সময় চলে যায়।
বাইরের খাবার বনাম বাড়ির খাবার- পুজো আসতে না আসতেই শুরু হয়ে যায় বাইরে খাওয়া এবং বাড়িতে খাওয়া নিয়ে একটা ঝামেলা। কর্তা যদি বলেন বাড়িতে লুচি, খাসির মাংস খাবেন তবে বউ বলবেন যে পুজোর কটাদিন খাওয়া-দাওয়াটা বাইরেই সারবেন।
ঠাকুর দর্শনে জোর ঝগড়া- আসা যাক ঠাকুর দেখার কথায়, বউ যদি বলেন সেজেগুজে ঠাকুর দেখবেন, বর সেখানে বাধিয়ে বসেন আপত্তি। বরের ইচ্ছা তখন বন্ধুদের সঙ্গে তিনি আড্ডা দেবেন।
পুজোর সাজেও ঝামেলা- মেয়েদের সাজগোজ মানেই সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। সেখানেও আসে বিপত্তি। গিন্নীর সাজগোজ করতে বেশি সময় লাগে তাই কর্তার মেজাজ যায় চটে।
শাড়ির কুচি কে ধরবে-- শাড়ির কুচি নিয়ে ঝামেলা। শাড়ির কুচি ধরা পছন্দ হয় না বউ-এর। তাই নিয়েও চলে ঝামেলা বরের সঙ্গে।
অষ্টমীর অঞ্জলি-- সকালে স্নান সেরে অষ্টমির অঞ্জলি দিতে যাওয়া নিয়েও চলে ঝামেলা। বউ-এর ইচ্ছে থাকলেও বরের ইচ্ছে থাকে না সকাল বেলার ঘুম ছেড়ে অঞ্জলি দিতে যাওয়ার। কোন কুইজিনে খাওয়া- পুজোতে কি কুইজিন খাওয়া হবে তা নিয়েও চলে একপ্রস্হ ঝামেলা। বউ চাই
কোন কুইজিনে খাওয়া- পুজোতে কি কুইজিন খাওয়া হবে তা নিয়েও চলে একপ্রস্হ ঝামেলা। বউ চাইনিজ বললে, বর বলেন ইন্ডিয়ান।
দশমী-র ঠাকুর প্রণামে আপত্তি-- এছাড়া থাকে দশমীতে 'মা'-কে প্রণাম করা নিয়ে ঝামেলা। ঠাকুরের সামনে মাথা নত করতে রাজি হন না বাড়ির কর্তারা।