করোনা আতঙ্কে চিনা রঙে না, পারবেলিয়ায় রাজ করছে এখন ভেষজ রঙ

আজ পালিত হচ্ছে দোল পূর্ণিমা। আগামীকাল সারা দেশ জুড়ে পালিত হবে হোলি উৎসব। এই হোলি উৎসব অবাঙালিদের সবচেয়ে বড় উৎসব। তবে এই উৎসব এখন ধর্ম বিভেদে সকলের উৎসবে পরিনত হয়েছে। ঝাড়খণ্ড বিহার উত্তর প্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য ধুমধাম সহকারে পালিত হয় হোলি উৎসব।

deblina dey | Published : Mar 9, 2020 8:56 AM IST
17
করোনা আতঙ্কে চিনা রঙে না, পারবেলিয়ায় রাজ করছে এখন ভেষজ রঙ
তবে বিশ্ব জুড়ে নোবেল করনা ভাইরাস যেভাবে মহামারীর রূপ নিয়েছে তাতে এবার অনেকেই রঙ খেলা থেকে বিরত থাকছেন। রঙ সহ বসন্ত এবং হোলি উৎসবের নানান সামগ্রী চীন থেকে আমদানি করা হয়।
27
করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল যেহেতু চীন দেশে তাই চীনা সামগ্রী ব্যাবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি কেউই আর আর চীনের তৈরি রঙ ব্যবহারের ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।
37
পুরুলিয়ার একমাত্র খনি অঞ্চল নেতুড়িয়া থানার পারবেলিয়া এলাকাকে এক টুকরো বিহার বলা হয়ে থাকে। মূলত এই এলাকার অনেকটা এলাকা জুড়ে বিহারী সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। হোলি উৎসবে এই এলাকা বিহারের রূপ নেয়।
47
তবে করোনা ভাইরাসের ফলে এবার হোলি উৎসবের আনন্দ এখানে অনেকটাই ফিকে। বিক্রেতা মনোজ কুমার জানান দু তিন ধরে বিভিন্ন প্রকারের রঙ সহ নানান সামগ্রী নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেও কোরোনা ভাইরাসের জন্য সেরকম খুব একটা বিক্রি নেই। মোটামুটি একই মত সকল ক্রেতাদের। এখন তো বেশিরভাগ ব্যবহার্য দ্রব্য সামগ্রী চীনের।
57
তাই রঙের যে কোনও সামগ্রী কিনতে ভয় লাগছে ক্রেতারা। কি থেকে কি হবে তা বলা মুশকিল। তাই এবার হোলিতে রঙ খেলা আর হলো না। নেতুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি শান্তি ভূষণ প্রসাদ যাদব এই এলাকারই বাসিন্দা। তিনি বলেন প্রতি বছর পারবেলিয়া এলাকায় ধূমধাম সহকারে হোলি মানানো হয়।
67
দল মত নির্বিশেষে সমস্ত শ্রেণীর মানুষ শান্তিপূর্ন ভাবে এখানে হোলি মানান।এবার সেই উৎসবে বাদ সেজেছে করোনা ভাইরাস। আমরা সবাইকে বলছি যাতে চীনের তৈরি কোনো রঙ বা সামগ্রী কেউ ব্যাবহার না করেন। সকলেকেই বলা হচ্ছে যাতে আমাদের দেশের তৈরি ভেষজ রঙ ব্যবহার করেন।
77
আমরাও পারবেলিয়া এলাকায় হোলি উৎসব পালন করবো তবে শুধুমাত্র ভেষজ রঙেরই ব্যবহার করা হবে। এবারে তাই পুরুলিয়ার এই ছোট্ট হিন্দী বলয়ের হোলি কেমন হয় সেদিকেই তাকিয়ে আছেন এলাকার মানুষ।
Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos