করোনা ভাইরাস নিয়ে ত্রস্ত হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। করোনা রুখতে নানা ধরনের নিয়মবিধি মেনে চলার পরেও অজান্তেই শরীরের বাসা বাধছে এই মারণ ভাইরাস। যত দিন যাচ্ছে করোনার নিত্যনতুন উপসর্গ প্রকাশ্যে আসছে। যা নিয়েই সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। কিছুদিন আগেও গবেষকেরা দাবি করেছিলেন করোনা ভাইরাস এবার হানা দিতে পারে চোখেও। কিন্তু এবার করোনার থেকে ভয়ঙ্কর সমস্যা নিয়ে হাজির চোখের এই রোগ। আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ছাড়িয়েছে ২১ হাজার। আপনিও কি এই রোগে আক্রান্ত। বুঝবেন কীভাবে।
হু হু করে বাড়ছে চোখের এই রোগ। ভারতেই ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ভবিষ্যতে আপনিও হয়তো শিকার হতে পারেন এই কঠিন রোগের। কীভাবে বুঝবেন।
210
ড্রাই আই চোখের একটি জটিল সমস্যা। ভারতের বিশাল সংখ্যক মানুষ এই জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
310
সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গেছে, ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৪.৫ লক্ষ মানুষের উপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে অন্তত ২১ হাজারেরও বেশি মানুষ এই ড্রাই আই রোগে আক্রান্ত।
410
চক্ষু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে ভারতের মোট জনসংখ্যার চল্লিশ শতাংশ এই রোগের শিকার হতে চলেছেন।
510
মহিলাদের তুলনায় পুরুষরা এই রোগে আক্রান্ত বেশি হচ্ছেন।
610
ঠিক সময় মতো চিকিৎসা না হলে এই রোগের ফলে অন্ধত্ব ও নেমে আসতে পারে।
710
দেখা যাচ্ছে এই রোগে আক্রান্ত অন্তত ২০ শতাংশ রোগীই চোখের জল স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই কম।
810
কীসের জন্য তারা কাঁদতে পারেন না, এর পিছনে কোনও শারীরিক সমস্যা আছে কিনা তা নিয়েও গবেষণা চলছে।
910
তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দূষণই এর প্রধান কারণ। তাছাড়া চোখের গ্রন্থি থেক যে পরিমান জল নিঃসরণ হওয়ার কথা তা চ্যানেলের অসুবিধার কারণেই হয় না।
1010
এই রোগ থেকে বাঁচার একটাই উপায়, সিগারেটের ধোঁয়া এড়িয়ে চলতে হবে। কান্না চেপে রাখা চলবে না। ওমেগা থ্রি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। হাত না ধুয়ে নাকে-মুখে তো নয়ই, চোখেও হাত দেওয়া যাবে না। চোখ থেকে সংক্রমণ আটকানোর আরেকটি রাস্তা হল চশমা পড়া।