রিও অলিম্পিকে অধরা থেকে গিয়েছিল স্বপ্ন। কিন্তু হার না মানা জেদে সেই স্বপ্ন পূরণ হল টোকিও অলিম্পিকে। ভারত্তোলনেপ ৪৯ কেজি বিভাগে রূপো জিতে দেশকে গর্বিত করলেন মীরাবাঈ চানু। ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকে ৬৯ কেজি বিভাগে কর্ণম বালেশ্বরীর হাত ধরে ভারোত্তলনে ভারতের ঘরে এসেছিল ব্রোঞ্জ পদক। দীর্ঘ ২১ বছর পর সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটল মীরাবাঈ চানুর হাত ধরে। দেশের এই গর্বের দিনে জানু মীরাবাই চানুর লড়াইয়েরলকাহিনি।
Sudip Paul | Published : Jul 24, 2021 8:47 AM IST / Updated: Jul 24 2021, 03:44 PM IST
সাঁইখোম মীরাবাই চানু ৮ আগস্ট ১৯৯৪ সালে নংপোক কাকিং, ইম্ফল ইস্ট, মণিপুরে জন্মগ্রহণ করেন।
ছোট বেলায় পরিবারের জন্য আগুনের কাঠ তুলে আনতেন। তখনই তার মধ্যে ভারোত্তলনের ক্ষমতা লক্ষ্য করে তার পরিবার।
মাত্র ১২ বছর বয়সেই ওয়েটলিফটিংয়ের প্রশিক্ষণ শুরু করেন মীরাবাই চানু। তারপর ধীরে ধীরে জেলা ও রাজ্যস্তরে খ্যাতি অর্জন করেন।
জাতীয় স্তরে মীরাবাঈ চানুর প্রথম সাফল্য ২০১৪ সালে। সেই বছর কমনওয়েলথ গেমসে রূপো জেতেন তিনি।
তারপর ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন পর্বে জাতীয় রেকর্ড ভাঙেন ইম্ফলের মেয়ে।
রিও অলিম্পিকে পদক জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন মীরাবাঈ চানু। কিন্তু ক্লিন অ্যান্ড জার্কে কোনও লিফট সম্পূর্ণ না করতে পারায় ছিটকে যান।
ভেঙে না পড়ে ঘুড়ে দাঁড়ান চানু। ২০১৭ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ৪৮ কেজি বিভাগে সোনা জিতে নজর কেড়েছিলেন মণিপুরের ভারোত্তলক।
২০১৮ কমনওয়েলথে সোনা জেতেন মীরাবাঈ। রাজীব গান্ধী খেল রত্নে ভূষিত হন মীরাবাঈ। ২০২০ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক জেতেন তিনি।
টোকিও অলিম্পিকের আগে সেন্ট লুইসে ৫০ দিন ধরে তিনি অনুশীলন করেছিলেন। আন্তর্জাতিক ভআরত্তোলন ফেডারেশনের অ্যাবসোলিউট ব়্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকায় তিনি সরাসরি অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন।
আর এবার টোকিও অলিম্পিকে ভারোত্তলনের ৪৯ কেজি বিভাগে রূপো জিতে নিজের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি, দেশকে গর্বিত করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্র সকলেই শুভেচ্ছা জানান মীরাবাঈ চানুকে। শুভেচ্ছা ক্রীড়া জগতও।